এমভি আবদুল্লাহ। ছবি: ডেইলি মেসেঞ্জার
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! সোমালিয়ান জলদস্যুদের হতে মুক্ত বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া নৌবন্দরের নোঙ্গর করেছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ৭ টা নাগাদ (বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টা) এমভি আবদুল্লাহ আল হামরিয়া বন্দরে নোঙ্গর করেছে বলে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের প্রথম সচিব (প্রেস) আরিফুর রহমান। তিনি জানান, নাবিকদের সাথে বন্দর সাক্ষাৎ হয় এবং নাবিকদের সবাই সুস্থ আছেন।
জাহাজটি নোঙ্গর করার সময় বন্দরে উপস্থিত রয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জামান, রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর, কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনসহ ১৫ সদস্যর একটি দল।
কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জামান জানান, বন্দরে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে জাহাজে থাকা কয়লা খালাস করা হবে। এবং পরবর্তীতে নতুন কোন কার্গো পেলে তা দিয়ে চট্টগ্রাম বা নতুন কোনো গন্তব্য যাবে জাহাজটি। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জাহাজ পরিদর্শন ও নাবিকদের সাথে আলোচনার পর।
তিনি আরও জানান, আপাতত আমরা নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এর পর নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবেন তারা। নাবিকরা চাইলে জাহাজে করে দেশে ফিরবেন অন্যথায় তারা চাইলে বিমান যোগেও দেশে ফিরতে চাইলে আমরা সে ব্যবস্থা নিবো, এটি সম্পূর্ণ নাবিকদের ইচ্ছের ওপর নির্ভর করছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয় জলদস্যুদের কাছ থেকে দীর্ঘ ৩১ দিন পর ১৪ এপ্রিল মুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ। মুক্তির ৭ দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) আরব আমিরাতের জলসীমায় প্রবেশ করে। দেশটির ফুজাইরাহ উপকূল ও হরমুজ প্রনালী হয়ে গতকাল রবিবার (২১ এপ্রিল) আল হামরিয়া বন্দরের শারজাহ উপকূলের বহির্নোঙরে অবস্থান নেয়। আজ সকালে দেশটির নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে প্রবেশ ও নোঙ্গর করার অনুমতি পায়।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার