ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
০৪ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

বিপৎসীমার ওপর তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ২২:২৬, ১ জুলাই ২০২৪

বিপৎসীমার ওপর তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ছবি : সংগৃহীত

ভারি বর্ষণ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের তিস্তাসহ নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। এরই মধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সেই সঙ্গে তিস্তার পানি কমা বাড়ায় ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা। নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। তারা ভাঙন রোধসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদীর নিম্নাঞ্চল, চর দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা।

এর মধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সূর্যমুখী কারি মাদ্রাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ডুবে গেছে ওইসব এলাকার সবজিক্ষেতসহ ফসলি জমি।

এছাড়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ, শহীদবাগ, বালাপাড়া, টেপামধুপুর পীরগাছা উপজেলার পাওটানা ছাওলা তাম্বুলপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই বাড়িঘর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বন্যার পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩টা থেকে তিস্তা নদীর রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে এই কাউনিয়া পয়েন্টে দুপুর ১২টার দিকে বিপৎসীমার সেন্টিমিটার, সকাল ৯ টায় সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা নদীপাড়ের পরিস্থিতির বিষয়ে সবসময় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

মেসেঞ্জার/আপেল