ঢাকা,  শনিবার
০৬ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

মৌসুমী বায়ু ও ভারতের উজানের পানির প্রভাবে দেশজুড়ে বন্যা

আবদুর রহিম, ঢাকা 

প্রকাশিত: ১১:২৩, ৩ জুলাই ২০২৪

মৌসুমী বায়ু ও ভারতের উজানের পানির প্রভাবে দেশজুড়ে বন্যা

ছবি : মেসেঞ্জার

মৌসুমী বায়ু ও ভারতের উজানের পানির প্রভাবে আকস্মিকভাবে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। একই কারণে বন্যা-পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে দেশের আরও কয়েকটি অঞ্চলে। বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে কয়েকটি নদ-নদীর পানি। ইতিমধ্যে ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। দেশের কয়েকটি যায়গায় ৩ নম্বর সতর্ক দেখানো হয়েছে।

সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যায় ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে। ফেনীর দুই উপজেলায় বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, স্থগিত করা হয়েছে এইসএসসিসহ সকল পরীক্ষা। পানির নীচে সড়ক চলে যাওয়ায় সাজেকে আটকা পড়ে আছে ৭০০ পর্যটক। আরও দুই মাস বড় বন্যার পদধ্বনির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

এ দিকে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে। অনুশাসন তুলে ধরে সিনিয়র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এবার বন্যার আশঙ্কা আছে। বৃষ্টির প্রভাব পড়বে। সবাইকে বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিশেষ করে সিকিম, অরুণাচল, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গে অতি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই উজান থেকে ঢল-বানের তোড় ক্রমশ বেড়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মেঘনার মোহনা পর্যন্ত ঢল-বন্যার আশঙ্কা তৈরি রয়েছে। এ বন্যা হতে পারে আরও দুই মাস। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলা এবং তিস্তা নদীপাড়ের এলাকাসমূহ আবারও বন্যা কবলিত হয়েছে। ডুবে যাচ্ছে আরও বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল। নিম্নাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে বন্যায় নদীভাঙনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই মাসে এসে অর্থাৎ আষাঢ়ের দ্বিতীয়-তৃতীয় সপ্তাহে ভরা বর্ষাকালে এ সময়ের দিকে দেশে যে বন্যা হয় তা ভাটির দেশ বাংলাদেশে মধ্যমেয়াদি এবং ‘স্বাভাবিক মৌসুমী বন্যা’। তবে নিজেদের বন্যামুক্ত রাখতে গিয়ে উজানভাগে ভারত যখন বাঁধ, ব্যারাজগুলো খুলে পানি ছেড়ে দেয়, তখন বন্যা ব্যাপক আকার ধারণ করে।  গতকাল সোমবার অভ্যন্তরীণ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ এবং উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আসা অতি বৃষ্টিজনিত উজানের ঢল-বানের তোড়ে তিস্তা-সুরমাসহ ৫টি নদ-নদী ৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়েছে।

নদ-নদীর প্রবাহ পরিস্থিতি সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বুলেটিনে নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে। ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। কুশিয়ারা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও এর সংলগ্ন উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীসমূহের পানির সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।

২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা:

অতিবৃষ্টি এবং উজানের ঢলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান স্বাক্ষরিত বার্তায় জানানো হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে স্বল্পমেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মুহরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।

সিলেটে তৃতীয় দফা বন্যা ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি:

দুই দফার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই গত ৩৫ দিনে তৃতীয় দফায় বন্যা কবলিত হয়েছে সিলেটবাসী। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদনদীর পানি দ্রুত বেড়ে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ৭ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে তারা। স্থানীয়রা বলছেন, ভারতের মেঘালয়ে অতিবৃষ্টির প্রভাবে সিলেটে এই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে সব নদ-নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে চার নদীর পয়েন্টে পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সিলেটের সঙ্গে গোয়াইনঘাট উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারিগাঙ্গ নদীর পানি দ্রুত বেড়ে পাঁচটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়াও আরও ছয়টি পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় পানিবন্দি রয়েছেন ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬ জন। ২১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন ১০ হাজার ৭১৩ জন। তবে সিলেট সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলায় পানিবন্দি মানুষের জন্য প্রস্তুত রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।

ফেনীর দুই উপজেলায় বাঁধ ভেঙ্গে ১০ গ্রাম প্লাবিত; পরীক্ষা স্থগিত:

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী নদীর পাঁচটি স্থানে বাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় চলমান মঙ্গলবারের (২ জুলাই) এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, সোমবার (১ জুলাই) রাতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর পানির নিচে তলিয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মঙ্গলবারের এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

শীঘ্রই মুহুরী-কহুয়ায় বাঁধ প্রতিমন্ত্রী :

আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে মুহুরী-কহুয়া নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর বন্যাকবলিত পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা জানান।৭শ থেকে ৮শ কোটি টাকার প্রকল্পের একটি সমীক্ষা চলছে। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শেষ। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কপি পেয়ে যাবো। ডিপিপি প্রণয়ন করতে চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে বলা হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে উত্থাপন করা হবে।

৩ নম্বর সতর্ক সংকেত:

মৌসুমি বায়ু প্রবল থাকায় দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। গতকাল মঙ্গলবার আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানার সই করা সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পানির নিচে ঝিনাইগাতি :

ঝিনাইগাতী শহরসহ নিম্নাঞ্চলের কমপক্ষে ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। সেই সঙ্গে পানিতে ডুবে গেছে শতাধিক মাছের খামার, পুকুর, বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও বীজতলা। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, মহারশি নদীর প্রায় আধ কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে দখল করে বসতি স্থাপন করায় নদীর নাব্যতা কমে যাওয়াতে সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। ঝিনাইগাতী ব্রিজ পাড় থেকে দখলে থাকায় কমে গেছে নদীর নাব্যতা, যার কারণে একটু বেশি পানি হলেই তা ডুবিয়ে দেয় সব কিছু। নদী খনন না করে নাব্যতা ফিরিয়ে না আনায় প্রতিবারই ঝিনাইগাতী শহরসহ পুরো এলাকা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

পানি বাড়ছে নেত্রকোনায়:

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। জেলার উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছাড়াও গণেশ্বরী, মহাদেব, বাখলা, মঙ্গেলশ্বরী, বৈঠাখালী, কংস, সোমেশ্বরী ও ধনু নদীর পানি বাড়ছে। এতে উপজেলার সাত ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

দৌলতদিয়ায় ভাঙনে মহাঝুঁকি:

পদ্মা নদীর পানি বাড়তে শুরু করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে ৭ নম্বর ঘাট এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়ার ৬ ও ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পাশাপাশি ঘাট সংলগ্ন প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার ও একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ফলে ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছেন দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার পদ্মা পারের বাসিন্দারা।

সড়ক পানির নীচে সাজেকে আটকা ৭০০ পর্যটক:

সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণে গিয়ে ৭০০ পর্যটক আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার  সকালে বাঘাইছড়ি-বাঘাইহাট সড়ক উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায়। ফলে সাজেকে ছোটবড় মিলে ১২৫ গাড়ির পর্যটক আটকা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক কটেজ মালিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা। তিনি আরও জানান, সোমবার যেসব গাড়ি এসেছে তাদের সবাই সাজেকে অবস্থান করছে। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে আজকে গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে সকালে খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করতে পারেনি। 

মেসেঞ্জার/দিশা