ছবিঃ সংগৃহীত
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে তার দুর্নীতির তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করেন তারা। রোববার (১১ আগস্ট) কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা এ দাবি জানান।
তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর টানা ১৫ বছর ঢাকা ওয়াসার এমডি পদ দখল করে আছেন তাকসিম। এ সময় শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন তিনি। সেই টাকা যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান থাকেন। তাকসিম নিজেও যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্টধারী। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে পালিয়ে যেতে পারেন।
সকাল থেকেই ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা নানাভাবে নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তারা জমায়েত হতে থাকেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা ওয়াসা ভবনের সামনে তাকসিমের বিষয়ে বিষোদ্গার করতে থাকেন। পরে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, তাকসিমের অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলেই তার ওপর খড়্গ নেমে এসেছে। কোনো কারণ ছাড়া চাকরিচ্যুত করা হতো। কয়েকজন আদালতের আদেশ নিয়ে আসার পরও চাকরি করতে দেওয়া হয়নি।
কর্মচারী আব্দুল আলিম বলেন, ১৫ বছর ধরে শত শত কর্মচারী মাস্টাররোলে চাকরি করছেন ওয়াসায়। তাদের চাকরি স্থায়ী না করে আউটসোর্সিং করা হয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে শতকোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন তাকসিম।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দুপুর ২টা পর্যন্ত তাকসিম এ খানের মোবাইল ফোন সচল ছিল। এর পর থেকে তার মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে জুম মিটিং করেন। ওই মিটিংয়ে রোববার থেকে সবাইকে ঠিকমতো অফিস করার নির্দেশনা দেন। তিনি নিজেও রোববার থেকে অফিস করবেন জানিয়ে ওই মিটিংয়ে বলেন, ‘তাকসিম ওয়াসার এমডি আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।’ তবে তিনি ওয়াসায় যাননি।
মেসেঞ্জার/অঞ্জন