ঢাকা,  বুধবার
০৯ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ৮ অক্টোবর ২০২৪

খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার

ছবি: সংগৃহীত

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মানুষের খাদ্য প্রাণীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য পেতে হলে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দেলদুয়ার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ হল রুমে দেলদুয়ার উপজেলার পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারিদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, আমরা যা খাই যেমন— সবজি, ফল বা মাছ-মাংসের মধ্যে থেকে যাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হয়ে গেছে। যার ফলে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা আর কাজ করে না।

কোম্পানি থেকে মাছ-মুরগির খাদ্য না কিনে খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে খামারিদের প্রতি আহ্বান জানান উপেদষ্টা।

সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিষয়ে মৎস্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর খামারিদের পাশে থাকবে।

খামারিরা মুরগির বাচ্চা খাবার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, আপনারা স্বাধীন খামারি হবেন, কন্ট্রাক্ট খামারি হবেন না।

তিনি আরও বলেন, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো ব্যবসা করে যাচ্ছে। ফলে তারা লাভবান হচ্ছে। প্রকৃত খামারিরা লাভবান হচ্ছে না।

উপদেষ্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, নদী-নালা-খাল-বিল ভরাট হলে কীভাবে কাজ করা যাবে?

এসময় মৎস্য প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা এগুলো বাঁচাতে প্রয়োজনে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করবেন বলে মত বিনিময় সভায় আশ্বস্ত করেছেন।

তিনি অবৈধভাবে নদী-নালা-খাল-বিল দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন।

উপদেষ্টা আরও বলেছেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে এবং এর ফলে নারীরা অনেকক্ষেত্রেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফা আবদুল্লাহ আল-নূরের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা দেন- টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম।

এছাড়া সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা ছাড়াও ৫০ জন প্রাণিসম্পদ খামারি ৪০ জন মৎস্য খামারি এসময় উপস্থিত ছিলেন।

মেসেঞ্জার/ফামিমা