ছবি: সংগৃহীত
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমী আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর)। শারদীয় দুর্গাপূজার অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ দিন এটি। অষ্টমী বিহিত পূজা, সন্ধি পূজা ও কুমারী পূজার মধ্যে দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে মহাঅষ্টমী উদযাপন করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
মহাঅষ্টমীর অন্যতম আকর্ষণ কুমারী পূজা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। শাস্ত্র মতে এক বছর থেকে ১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কোনো কুমারীকে পূজা করা হয়।
ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পূজা করার বিধান রয়েছে। পূজার আগ পর্যন্ত গোপন রাখা হয় কুমারীর নাম।
তিথি অনুযায়ী এদিন সন্ধি পূজা হবে বেলা ১২টা ১৩ মিনিট থেকে ১টা ১ মিনিটের মধ্যে। দেবী দুর্গার ভক্তকুলের প্রত্যাশা কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে আবারও জানান দেয়া হবে নারী শক্তির, করা হবে নারীকে সম্মানের আহ্বান।
মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে বুধবার শুরু হয় পাঁচ দিনব্যাপী সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব। বিজয়া দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্যদিয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর দুর্গোৎসব শেষ হবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে সারা দেশে ৩১ হাজার ৪৬১ টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর রাজধানীতে পূজা হচ্ছে ২৫২টি মণ্ডপে।
এ বছরও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পূজামণ্ডপগুলোতে আনসার, পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গণে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/আজিজ