ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য ফিজিক্যাল থেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)।
শনিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও বিপিএ’র যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
কার্যক্রম প্রসঙ্গে বিপিএ’র সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে অভ্যুত্থানে আহত এবং শহীদের প্রকৃত সংখ্যা এখনো আমরা জানতে পারিনি। আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন যত দেরি হবে, পঙ্গুত্বের সংখ্যা ততই বাড়বে। তাই দ্রুত আহতদের পুনর্বাসন চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন।
গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের পরিচালক সাইদুজ্জামান চৌধুরী অপু বলেন, জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্মই হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। আন্দোলন চলাকালে আহদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদকে গণস্বাস্থ্যে চিকিৎসা দেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আন্দোলনে গুরুতর আহত বেশ কিছু রোগীও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। আন্দোলনে আহতদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সাইফউদ্দিন মো. ইমদাদ এবং নেসার উদ্দিন মোবারক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— বিপিএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরিদ উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. আকরাম হোসেন, বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান, ল্যাবএইড হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. উম্মে সালমা, যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর সাইকোলজিক্যাল কনসালটেন্ট নাজমুল হোসাইন।
মেসেঞ্জার/দিশা