ছবি : সংগৃহীত
হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবে প্রশাসক নিয়োগ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাবে প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাবের এজিএম স্থগিত থাকবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। হাবের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এর আগে গত ২৮ অক্টোবর হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের বার্ষিক সাধারণ সভা স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন। ২৯ অক্টোবর হাবের বার্ষিক সাধারণ সভা হওয়ার কথা ছিল।
গত ১৫ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিক ও কয়েকটি এজেন্সির স্বত্বাধিকারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে হাবে প্রশাসক নিয়োগ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২-এর ১৭ ধারা মোতাবেক সংগঠনটির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি বাতিল করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ দাউদুল ইসলামকে হাবের প্রশাসক নিয়োগ করা হলো। তাকে ১২০ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়।
এদিকে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) উদ্যোগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরে হাইকোর্টে রিট করে হাব। হাবের রিটের শুনানি নিয়ে গত সপ্তাহে প্রশাসক নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল করে বৈষম্যবিরোধী হজ এজেন্সির মালিক। এর মধ্যে সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করে হাব। পরে এর বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে সম্পূরক আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে সাধারণ সভা স্থগিত করেন চেম্বার আদালত।
মেসেঞ্জার/দিশা