ছবি : সংগৃহীত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ। সচেতনতা ও জ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত মানবসৃষ্ট দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত 'নগর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা : সমস্যা ও প্রতিকার' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জীবন রক্ষার জন্য আমাদের প্রয়োজন শক্তিশালী প্রারম্ভিক সতর্কতা ব্যবস্থা, উন্নত বিল্ডিং কোড এবং আরো ভালো নগর পরিকল্পনা।
তিনি বলেন, মানুষ সচেতন হলেই ঝুঁকি হ্রাস পাবে। সবাইকে সচেতন করার কাজটি অত্যন্ত কঠিন। এই সচেতনতা আমাদের প্রত্যেকের ঘর থেকেই আরম্ভ করতে হবে এবং অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। এছাড়া সরকারের উপর নির্ভর না করে সর্বতোভাবে ভলান্টিয়ার সৃষ্টি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় ভূমিকম্প ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী অন্য দেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আদলে কার্যকর মডেল সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সবাইকে প্রস্তুত রাখা সময়ের দাবি। তিনি বলেন, আমাদের সব সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিজস্ব উদ্ভাবনী ও প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য যথেষ্ট গবেষণার প্রয়োজন। আমি আশা করি তরুণ প্রজন্ম এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
ফারুক-ই আজম বলেন, প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগের চেয়ে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তা হলো আমাদের দারিদ্র্য। বাংলাদেশের প্রায় ৭৫টি উপজেলার শতকরা ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যজনিত অপুষ্টি একটি দুর্বল জাতি সৃষ্টি করবে, যার পরিণাম হবে ভয়াবহ। তাই আমি দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
মেসেঞ্জার/দিশা