ঢাকা,  রোববার
২৪ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যু, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ আজ

মেসেঞ্জার অনলাইন

প্রকাশিত: ১২:০৩, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যু, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ আজ

ছবি : সংগৃহীত

সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছিলেন তিনি। রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিন সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের মৃত্যুতে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু থাকবে।

আগামী ২৬ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বাদ জোহর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ওই জানাজায় প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা অংশগ্রহণ করবেন।

গণসংযোগ কর্মকর্তা জানান, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহ্য অনুযায়ী সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিনের স্মৃতির প্রতি প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির সব প্রশাসনিক কাজ চলমান থাকবে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিনের মৃত্যুতে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গভীর শোক প্রকাশ করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন ১ জুন, ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে লক্ষ্মীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং ১৯৬৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

তিনি ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন এবং ১১ জানুয়ারি ২০০১ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন।

রুহুল আমিন বাংলাদেশের ১৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ১ মার্চ ২০০৭ সাল থেকে ৩১ মে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

মেসেঞ্জার/তারেক