ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়িকে বুধবার ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিল এমন অভিযোগের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আবার হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে একটি পিকআপ।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এমন ঘটনা ঘটে। হাসনাত কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। তিনি সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে। বুধবারের মতো এটিকেও হত্যাচেষ্টা বলে মনে করছেন সমন্বয়করা।
হাসনাতের গাড়িটির ছবি এরইমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। ছবিতে দেখা যায়, একটি পিকআপ প্রাইভেট কারের পেছনে ধাক্কা দিয়েছে। ফলে প্রাইভেট কারের পেছনে অংশ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ঘটনার পর সারজিস আলম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, চট্টগ্রাম থেকে বুধবার রাতেই অন্য গাড়িতে করে ঢাকা ব্যাক করলাম ৷ পথে হাসনাতকে কুমিল্লার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসলাম। এখন শুনছি সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসার পথে হাসনাতের গাড়িতে পিছন থেকে আবার অন্য গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে!
তিনি আরও লেখেন, এসব ষড়যন্ত্র করে আর কত? কয়জন হাসনাত মারবেন? মনে নাই সেই অভ্যুত্থানের দিনগুলোর কথা? একজনকে যখন বুলেটের আঘাতে লাশ বানিয়েছেন তখন সেই জায়গায় অন্যজন দাঁড়িয়ে গিয়েছে! কিন্তু পিছু হটেনি ৷
ঠিক একইভাবে এক হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত ৷ এই নতুন বাংলাদেশের চলার পথকে অবরুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাবেন না ৷ এই তরুণ প্রজন্ম মাথা নোয়াবার নয় ৷
আমরা মরতে শিখে গিয়েছি ৷
We are open to be killed.
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চুনতি ফারাঙ্গা এলাকা থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি হাজী রাস্তার মাথা এলাকায় হাসনাত ও সারজিসের গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়িতে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। এতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে হতাহত হননি কেউ।
মেসেঞ্জার/তারেক