ছবি : সংগৃহীত
ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীবাহী বাসসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সময়ে এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের চালতিপাড়া, হাসাড়াসহ পৃথক তিনটি স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের গুদাম পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, আহতদের উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম মো. ফরহাদ হোসেন (৪০)। তিনি ফরিদপুরের ভাঙা এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বাসের চালক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, এক্সপ্রেসওয়েতে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রায় ৭টি বাস, ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার পর তিনটি পরিবহন পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বিঘ্ন ঘটে। পরে পুলিশ ক্ষতিগ্রস্ত চারটি যানবাহনকে সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়। এরপর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এএসআই) সগির মিয়া জানান, ভোরে প্রথমে দুটি পণ্যবাহী ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পেছন থেকে একটি বাসকে ধাক্কা দেয়ে আরেকটি বাস। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। একই সময় একটি পিকআপভ্যান একটি প্রাইভেটকারকে চাপা দেয়। এতে আরও কয়েকজন আহত হন।
হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল কাদের জ্বিলানী বলেন, ভোর ৬টার দিকে মহাসড়কে একাধিক গাড়ির সংঘর্ষ ঘটলে আমরা ৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সড়ক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আরও বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। ঘন কুয়াশায় দূরের কিছু না দেখা ও অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/তারেক