ছবি : সংগৃহীত
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ভোর থেকে ময়দানের দিকে গণপরিবহন বন্ধ ছিল। এছাড়া সকাল থেকে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইজতেমার পথে যেতে পারেনি অনেক গণপরিবহন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়ে ফিরতি পথে গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকায় বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে মুসল্লিদের।
অনেকেই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ফিরে আসছেন পায়ে হেঁটে, কেউ কেউ পিকআপে, গণপরিবহনে, যৌথভাবে সিএনজিতে, প্যাডেল চালিত ভ্যান, রাইড শেয়ারিং বাহনে করে ফিরছেন। তবে অল্পসংখ্যক যে-সব বাস ওই দিক থেকে আসছে সেগুলোতে ঠাঁই নেই। কিছু কিছু বাসের সিটিং সার্ভিসের নামে বন্ধ রাখা হয়েছে গেই। সেসব বাসে যাত্রীদের কাছে আদায় করে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।
আব্দুল্লাহপুর থেকে খিলক্ষেত পিকআপে করে এসেছেন মুসল্লি আব্দুল আলিম। তিনি বলেন, টঙ্গীর দিক থেকে যে-সব বাস ঢাকার দিকে আসছে সেগুলোতে উঠার কোনো কায়দা নেই। এছাড়া শত শত পিকআপ আছে যেখানে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে ৫০/১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। এমন বিড়ম্বনায় অনেকে পায়ে হেঁটে ফিরতে শুরু করেছেন। আমি ৫০ টাকায় আব্দুল্লাহপুর থেকে পিকআপে খিলক্ষেত এলাম। এখন কুড়িল থেকে রামপুরা যাবো।
একটি পিকআপের চালকের সহকারী মোখলেছুর রহমান বলেন, ইজতেমা শেষে একটি ট্রিপ মারবো তাই শনিবার রাত থেকেই টঙ্গীতে গাড়ি নিয়ে গেছি। সারারাত থেকেছি তাই একটু বেশি ভাড়া নিচ্ছি। এরপর সারাদিন আর কোনো ট্রিপ থাকবে না।
ইজতেমার দিক থেকে আসা তুরাগ বাসের চালক হামিদুর মিয়া বলেন, আব্দুল্লাহপুর থেকে বাসে যাত্রী তুলে একবারে সায়েদাবাদ পর্যন্ত যাবো। তাই সিটিং করে যাত্রী তুলেছি যে যেখানেই নামুক ভাড়া ১৫০ টাকা। এই ট্রিপ নেওয়ার জন্য শনিবার থেকে ওইদিকে বাস রেখেছিলাম।
এর আগে আমিন আমিন... ধ্বনিতে কম্পিত হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার ময়দান। তুরাগ তীর ছাড়িয়ে জনসমুদ্রে রূপ নেয় মুসলমানদের এ জলসা। মোনাজাতে শরিক হয়ে সবাই খোদার ধ্যানে মগ্ন হন। আমিন আমিন বলে পরম করুণাময়ের কাছে নিজেকে সঁপে দিয়েছেন। যে যেখানে ছিলেন সেখানেই বসে আমিন আমিন বলেছেন।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ‘প্রথম পর্বের প্রথম ধাপ’ শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম জমায়েত শুরু হয়। শুরায়ে নিজামের প্রথম পর্বের প্রথম ধাপের তিন দিনের এ ইজতেমায় লাখো মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
মেসেঞ্জার/তারেক