ছবি : মেসেঞ্জার
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার পরিবেশ ও জলবায়ু বিপর্যয়ের সাথে সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাথে জড়িত রাস্ট্রগুলোই জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী। জলবায়ু সংকট সুন্দরবনসহ পৃথিবীর বাস্তুসংস্থানকে বিনষ্ট করছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। উপকূলে সুপেয় পানির সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ভ্রান্ত জলবায়ু নীতি পরিহার করে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে সুন্দরবনের ঢাংমারিতে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও ঢাংমারি ডলফিন সংরক্ষণ দলের আয়োজনে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে ‘গ্লোবাল ডে অব একশন ফর ক্লাইমেট জাস্টিস’ কর্মসুচির অংশ হিসেবে সুন্দরবনে বনজীবিদের অবস্থান কর্মসুচি পালনকালে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এসময় বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ, কৃষক নেতা কৃষ্ণপদ মন্ডল, বাপা নেতা ইদ্রিস ইমন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের কমলা সরকার, নদীকর্মী সাংবাদিক হাছিব সরদার, পরিবেশকর্মী শেখ রাসেল, বনজীবি মীরা বিশ্বাস, তরুন মন্ডল, রানা বিশ্বাস, দীপক মন্ডল, কল্পনা সরদার, মানস মন্ডল, সোনালি সরদার, বেল্লাল বেপারি প্রমূখ।
তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলবাসী উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। এছাড়া চারিদিকে পানি থৈ থৈ করলেও নিরাপদ সুপেয় পানি পাচ্ছে না। সুন্দরবন উজাড় হয়ে যাচ্ছে।
পরিবর্তিত জলবায়ুর সাথে ক্ষাপ খেয়ে বন্যপ্রাণী টিকে থাকতে পারছেনা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরবাড়ি লন্ডভন্ডসহ জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই জলবায়ু ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে জলবায়ু অর্থায়ন বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু অবস্থান কর্মসুচিতে কয়েক'শ বনজীবিরা অংশগ্রহণ করেন।
মেসেঞ্জার/আবুলহাসান/আপেল