ছবি : মেসেঞ্জার
ধারদেনা করে লিজ নেওয়া ২৫ শতাংশ জমিতে ক্যাপসিকাম গাছ লাগিয়েছিলেন কৃষক লাকু শেখ। গাছগুলোতে ফলন এসেছিল প্রচুর। গাছের প্রতিটি ডগায় ঝুলে ছিল হাইব্রিড জাতের ক্যাপসিকাম।
কিন্তু জমির অর্ধেক গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শুধু ক্যাপসিকাম নয় ওই কৃষকের আরও ৩৫ শতক জমির করলা, মরিচ ও আলু খেতের গাছ তুলে ফেলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে।
এ বিষয়ে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে মহম্মদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষক লাকু শেখ।
কৃষি উদ্যোক্তা লাকু শেখ মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। কৃষি অফিসের পরামর্শে নতুন নতুন সবজি চাষ করে লাভবান ও পরিচিতি বেড়েছে লাকু শেখের। তবে এ ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এক দিন আগেও তরতাজা ফসলের গাছের পরিচর্যা করে গেছেন কৃষক লাকু শেখ (৫০)। কিন্তু শুক্রবার সকালে খেতে এসে কাটা ও মৃত গাছগুলো হাতে নিয়ে আহাজারি করেন তিনি। এসময় আশপাশে জড়ো হয়ে ছিলেন এলাকাবাসী ও কৃষকেরা। এ জঘন্য ঘটনায় নির্বাক ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে অপরাধীর কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৫০ শতাংশ জমিতে বেড মালচিং পেপার পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম, মরিচ ও করলা চাষ করেছেন। রাতের আধারে ক্যাপসিকাম, করলা, মরিচ গাছের চারা উঠিয়ে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গাছের পাতাগুলো রোদে নুয়ে পড়েছে। প্রতিটি গাছের ডগায় ঝুলে আছে বড় বড় ক্যাপসিকাম। কাটা গাছ হাতে নিয়ে আহাজারি করছেন লাকু শেখ ও তাঁর স্ত্রী।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক লাকু শেখ জানান, আর কয়েক দিন পর খেত থেকে লক্ষাধিক টাকার সবজি বিক্রি করতে পারতেন। জমি লিজ করে কিস্তিতে টাকা নিয়ে জমি চাষাবাদ করেই সংসার ও ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিরাট সর্বনাশ হয়ে গেলো। আমার ঋণ শোধ করবো কীভাবে তাই ভাবছি। আমি সন্দেহও করতে পারছি না কে এ কাজ করেছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উল ইসলাম জানান, ওই কৃষক থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেসেঞ্জার/উজ্জ্বল/আপেল