ঢাকা,  শুক্রবার
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চাষ হচ্ছে বিদেশী সবজি স্কোয়াশ

শাহজাহান আলী বিপাশ, ঝিনাইদহ

প্রকাশিত: ১৭:১৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চাষ হচ্ছে বিদেশী সবজি স্কোয়াশ

ছবি : মেসেঞ্জার

স্কোয়াশ যাকে কোজেট নামেও ডাকা হয়। এটি সুস্বাদু জনপ্রিয় সবজি হিসেবে বিদেশিদের কাছে অনেক পরিচিত হলেও বাংলাদেশের অনেক কৃষক ক্রেতার কাছে অপরিচিত। আর এই বিদেশি জনপ্রিয় সবজি স্কোয়াশ চাষ শুরু হয়েছে ঝিনাইদহে।

জেলার কালীগঞ্জে উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে প্রদর্শনী প্লট আকারে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৯ জন কৃষক এবার প্রায় ৯০ শতাংশ জমিতে এই স্কোয়াশ চাষ করছে।

উচ্চ ফলনশীন স্কোয়াশ ইতিমধ্যে কালীগঞ্জের বাজারে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রিও শুরু হয়েছে। যে সকল কৃষক এই সবজি চাষ শুরু করেছে তাদের আশা তারা প্রথমেই ভাল লাভ করতে পারবেন।

উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বাবুল জানান, তিনি এ বছর শতাংশ জমিতে রানার হাইব্রিজ জাতের স্কোয়াশ চাষ করেছে। অল্প সময়ে তার বাগানে ফল এসেছে। এক একটি গাছ থেকে -৮টি ফল ধরেছে। প্রতিটি ফল থেকে কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে।

তিনি জানান, এই প্রথম বিদেশী এই সবজি চাষ করেছেন তিনি। এবছর শতাংশ জমি থেকে আড়াই মাসে ১৪ হাজার টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন। নতুন সবজি হিসেবে স্কোয়াশ কালীগঞ্জ বাজারে বেশ চাহিদা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুফল বর্মন জানান, স্কোয়াশ সবজি হিসেবে ব্যাপক পুষ্টি গুন সমৃদ্ধ এবং এই সবজি অল্প জমিতে অনেক বেশি চাষ করা যায়। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে স্কোয়াশ চাষীদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুব আলম রনি জানান, স্কোয়াশ আবাদের সুবিধা অল্প সময়ে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ফসল উৎপাদন করা যায়। তাছাড়া এক বিঘা জমিতে যে পরিমাণ কুমড়া লাগানো যায়, তার চেয়ে দ্বিগুণ স্কোয়াশ লাগানো সম্ভব। পূর্ণবয়স্ক একটি স্কোয়াশ গাছ অল্প জায়গা দখল করে। স্কোয়াশের একেকটি গাছের গোড়ায় থেকে ১০টি পর্যন্ত ফল বের হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই খাওয়ার উপযোগী হয় এটি। দেশে এবং বিদেশের বাজারে এর চাহিদা ভালো দাম রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বছর কালীগঞ্জ উপজেলার যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারন প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ সবজি চাষের জন্য ৯ জন কৃষককে রানার হাইব্রিড স্কোয়াস বীজ, উপকরন প্রদান করা হয়। এর মধ্যে কৃষক মোঃ শাহারিয়ার, মোঃ আলমগীর হোসেন, জসিম উদ্দিন, মোঃ শরিফুল ইসলাম বাবুল, পংকজ, মোঃ মিরাজ হোসেন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ মিলন হোসেনকে এই সহযোগিতা করা হয়েছে।

এই সবজি চাষ করে কৃষকরা অল্প সময়ে অনেক লাভবান হবেন। আগামীতে কালীগঞ্জে স্কোয়াশের চাষ বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

মেসেঞ্জার/আপেল