ছবি : মেসেঞ্জার
মোংলায় দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে থাকা কয়েকটি সরকারী রেকর্ডীয় খালের ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান শুরু হয়েছে।
পৌর শহরের বুক চিঁড়ে বয়ে যাওয়া ঠাকুরানী খালের গালস্ স্কুলের অংশে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজেই এ পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশ নিয়ে এ কাজের উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান।
এ কাজে অংশ নিয়েছেন পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। এছাড়াও ব্যবহার করা হচ্ছে স্কেভটর/ভেকু মেশিন।
পৌর মেয়র শেখ আঃ রহমান বলেন, খালের দুই পাড়ের লোকজন দখল ও ময়লা আর্বজনা ফেলে অস্তিত্বহীন এবং দূষণ করে ফেলেছেন। যা ময়লা ও মশার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তাই প্রথমেই ঠাকুরানী খালের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ খালের ৩ কিলোমিটার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। এরপর পর্যায়ক্রমে মধুর খালের ৬ কিলোমিটার ও কেওড়াতলা খালের ১ কিলোমিটার জুড়ে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।
এই ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারের পর খালের অবৈধ দখলমুক্ত ও তা খনন করে পুণরায় নাব্যতা ফিরিয়ে এনে আসছে বর্ষা মৌসুমের আগেই সচল, পানি প্রবাহ স্বাভাবিক এবং জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম হাওলাদার, আইয়ুব আলী, রফিপ সারেং ও বাদল মৃধা বলেন, ময়লা-আবর্জনা জমে ঠাকুরানী খালটি ভরাট হয়ে গেছে। পানি ওঠানামা বন্ধ থাকায় দুর্গন্ধ ও মশার উপদ্রবে টিকাই দায় হয়ে পড়েছে।
খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় খননের অভাবে পানি প্রবাহ না থাকায় বর্ষাকালে চরম জলাবদ্ধতার শিকার হতে হয় আমাদের। তাই দাবীর প্রেক্ষিতে অবশেষে পৌর কর্তৃপক্ষ খালটি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করায় মেয়রকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
সেই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে খালটি দখলমুক্ত ও জলাবদ্ধতা নিরসনে খনন করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানান তারা।
মেসেঞ্জার/আবুলহাসান/আপেল