ছবি : মেসেঞ্জার
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিল নামের একটি চিনির কারখানার গুদামে আগুন লাগার সাড়ে আট ঘন্টাতেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল চারটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। খবর পেয়ে বিকেল ৪টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনের বারটি ইউনিট যোগ দেয়।
রাত ১১টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কারখানায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মর্ডাণ ফায়ার স্টেশন, লামা বাজার, আগ্রাবাদ, চন্দনপুরা স্টেশনের ১২ টি ইউনিট আগুণ নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
কারখানার গোডাউন থেকে বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাস্থলে সিএমপি কর্ণফুলী থানা পুলিশ, র্যাব ৭,সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী,জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, গোডাউনে থাকা চিনির কাচামালগুলো সম্প্রতি ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ১ লক্ষ টন চিনির কাঁচামাল ছিল৷
এস আলম লিমিটেড চট্টগ্রাম মূল কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ ও প্রশাসন) হোসাইন রানা বলেন, গোডাউনে থাকা চিনির কাচামালের পরিমান ১ লক্ষ মেট্রিক টন।
তবে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান গোডাউনে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল ছিল।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই কর্মকর্তা জানান, বিকেল চারটার দিকে হঠাৎ করে টিনশেডের এই গোডাউনে আগুন ধরে যায়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কর্ণফুলী ফায়ার স্টেশনকে জানানো হলে তারা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ, চন্দনপুরা, লামাবাজার সহ একাধিক স্টেশনের বারটি ইউনিট আগুণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগীয় দপ্তরের উপ-পরিচালক আবদুল মালেক বলেন, বিকেল চারটায় লাগা এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট আগুণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা বলেন, আগুন সুত্রপাত সম্পর্কে জানা যায়নি। এই ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আগামী তিনদিনের ভেতরে প্রতিবেদন দেওয়া জন্য তাদের বলা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/দিশা