দুর্ঘটনায় বিধ্বস্ত গাড়ি। ছবি: ডেইলি মেসেঞ্জার
পিরোজপুরের সদর উপজেলার ঝাউতলায় বাসের চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও মোটর সাইকেলের ৭ আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় বাসের কয়েকজন যাত্রীও আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল বাস ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়ার উদ্দেশে যাওয়ার পথে শংকরপাশা ইউনিয়নের ঝাউতলা এলাকায় পৌছালে বাসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থামানো একটি অটোরিকশা এবং মটর সাইকেকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশা ও মোটর সাইকেলে থাকা ৭ জন নিহত হয়। এ সময় বাসে থাকা তিন জন গুরুতর আহত হয়।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, ভান্ডারিয়া উপজেলার মাদারসী এলাকার মোদাচ্ছের হাওলাদার ছেলে মো. স্বপন হাওলাদার, ইন্দুরকানি উপজেলার গদার হাওলা গ্রামের আক্কেল আলী হাওলাদারের ছেলে মো. হেমায়েত হাওলাদার, ইজিবাইক চালক পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর শংকর পাশা গ্রামের মো. জাকারিয়া ছেলে মো. নাইম, পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর শংকর পাশা গ্রামের জাহাঙ্গীর মুন্সীর স্ত্রী মানসুরা বেগম, পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর শংকর পাশা গ্রামের ইদ্রিস ফরাজীর ছেলে খাইরুল ফরাজী, পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকর পাশার বাদুরা গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিন নামাজপুর এলাকার মো. সুলতান মীরের ছেলে আলমগীর মীর।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, বাসটি থামানো একটি অটো ও মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এ সময় ড্রাইভার বাস রেখে পালিয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী টিম নিহত ও আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসে। নিহতদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পিরোজপুরে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সেলিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাই।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আশিকুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বাসটিকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/শুভ/হাওলাদার