ঢাকা,  সোমবার
২৮ এপ্রিল ২০২৫

The Daily Messenger

লক্ষ্মীপুরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ, বিপাকে ৪ পরিবার

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৫৪, ১৩ মার্চ ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে চলাচলের রাস্তা বন্ধ, বিপাকে ৪ পরিবার

ছবি : মেসেঞ্জার

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ৪০ বছরের একটি চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বাঁশ দিয়ে বেড়া নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষ এক পরিবার। এতে বিপাকে পড়েছে চার পরিবার। গত দিন ধরে তারা এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে আছে।

এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৯নং দক্ষিন চরআবাবিল ইউনিয়নের উদমারা গ্রামের কামার বাড়ীতে। তাদের প্রায় দেড় কিলোমিটার ঘুরে স্থানীয় বাজারে আসা যাওয়া করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

চার পরিবারের যাতায়াতের পথ আটকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন একই বাড়ীর প্রতিপক্ষ ওয়াসিম কর্মকার গ্যাংয়ের সদস্যরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সরেজমিন ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিপক্ষ তপন কর্মকারের ছেলে ওয়াসিম কর্মকারে সাথে খোকন কর্মকারদের র্দীঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে ওয়াসিমরা বাড়ির চলাচলের রাস্তার ফুট উচ্চতার বাঁশের দুই বেড়া দিয়ে চার পরিবার রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

এতে চারটি পরিবারগত দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফলে ভুক্তভোগীদের বাড়িতে প্রবেশ করতে হলে কয়েক বাড়ির পেছনে দিয়ে ঘুরে যেতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক সংগীতা মহাজন বলেন, উনাদের ঝামেলা দীর্ঘদিনের। এখানে কেউ কারো ছাড় দিচ্ছে না। ওয়াসিম কর্মকারদের লোকজন বেশি থাকায় খোকন কর্মকার তাদের সঙ্গে পেরে উঠছে না। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে এর সঠিক সমাধান চাই।

ভুক্তভোগী খোকন কর্মকার বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর আমরা এই স্থানে বাস করছি। জমির চোহাদ্দী অনুযায়ী এই যাতায়াতের স্থান আমাদের। সম্পূর্ণ জোর করে তারা আমাদের বাড়ির প্রবেশদ্বার আটকে দিয়েছেন। যার ফলে আমরা সহ আরও চারটি পরিবার বর্তমানে অবরুদ্ধ আছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত ওয়াসিম কর্মকার বলেন, ওই চার পরিবারকে এতদিন আমরা আমাদের জমির ওপর দিয়ে চলাচল করতে দিয়েছি। তারা অন্যায় ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ওই মামলায় আমি ২৫ দিন কারাভোগ করেছি। সে কারণে আমাদের জায়গা ঘিরে দিয়েছি।

তিনি তাঁর জমির ওপর দিয়ে কাউকে যেতে দেয় না। তাই আমরাও দেই না।

স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরে আলম জিকু হাওলাদার বলেন, জমির মালিক যেই হোন না কেন রাস্তা বন্ধ করে দেওয়াটা চরম অন্যায়। রাস্তা বন্ধকারীদের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য বলা হলেও তাঁরা কথা কর্ণপাত করেননি।

হায়দেরগঞ্জ ফাড়ির ইনচার্জ সুজিত বড়ুয়া বলেন, বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ কারও চলাচলের রাস্তা বন্ধ করতে পারে না।

মেসেঞ্জার/সুমন/আপেল