ছবি : সংগৃহীত
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী বর্তমানে সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা। এ ঘটনায় ধর্ষিতা ওই কিশোরী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) নেত্রকোণা নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ভিকটিম উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের গৌরী গোপালপুর গ্রামের দিনমজুর নঈম উদ্দিনের কন্যা।
ধর্ষণকারী যুবক আলম মিয়া (৩৫) উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ের জামাই ও একই গ্রামের বাসিন্দা।
ভিকটিমের বাবা নইম উদ্দিন জানান, নেত্রকোণা জেলা মোহনগঞ্জ উপজেলার জয়পুর গ্রামের লাউছ মিয়ার ছেলে আলম মিয়া শিবপুর গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ে করে শশুরবাড়ীতেই বসবাস করেন। পাশ্ববর্তী বাড়ির সুবাদে ভিকটিম আসা যাওয়া করায় আলম মিয়ার সাথে পরিচয় ঘটে। সরলতার সুযোগে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে এবং সে ধর্ষণের ভিডিও নিজের মোবাইলে ধারণ করে।
পরে ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখালে ভিকটিম ঘটনাটি কাউকে ভয়ে বলেনি। এরই মধ্যে ভিকটিম সাত মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরইমধ্যে অভিযুক্ত আলম মিয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে রেখে শ্বশুর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে বলে ভিকটিম জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবক আলম মিয়ার স্ত্রীর বড় ভাই আল আমিন মিয়া জানান, আমার বোন প্রতিবন্ধীর হওয়ার সুযোগ নিয়ে সে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করার মত জঘন্য কাজ করেছে। আমি এই জঘন্য ঘটনার নিন্দা জানাই।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক জানান, বিষয়টি ইউনিয়নের বিট পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেসেঞ্জার/জিয়াউর/তারেক