ছবি : সংগৃহীত
শেরপুরের নকলায় ঈদে শ্বশুর বাড়ি হতে জামাইয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে রোববার ভোরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চল্লিশ বছর বয়সী নিহত আব্দুর রহিম নকলা পৌরসভাধীন মৃত হাবিল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আব্দুর রহিম পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। ঢাকায় ন্যাশনাল পলিমার কোম্পানির গাড়ী চালাতেন তিনি। ৫ মাস আগে স্ট্রোক করার কারনে সে আর গাড়ী চালাতে পারেনা। স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার চেরাগআলীতে থাকতেন। স্ত্রী নাছিমা বেগম পোশাক শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন পুরো পরিবার। নাছিমা চলে যায় বাপের বাড়ি পাঠাকাটার নামাকৈয়াকুড়ী গ্রামে এবং আব্দুল রহিম চলে যায় নিজের বাড়ি জালালপুর গ্রামে। ঈদের দিন রাতে আব্দুর রহিম শ্বশুরবাড়ি নামাকৈয়াকুড়ীতে বেড়াতে যায়। শনিবার দিবাগত রাত অনুমান ৩টার দিকে সবার অগোচরে শ্বশুর বাড়ির পাশে কড়ইগাছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন বলেন জানান স্থানীয়রা।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এ ঘটনায় রবিবার ভোরে পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ী গ্রাম থেকে আব্দুল রহিম এর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সুরুতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মেসেঞ্জার/সজিব