ছবি : মেসেঞ্জার
নাটোরের বাগাতিপাড়ার টানা এক মাস সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকার পর নাবিক জয় মাহমুদের মুক্তিতে উৎকণ্ঠায় থাকা জয়ের পরিবারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রিয় মানুষটিকে দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন বাবা-মাসহ স্বজনরা।
মুক্তির পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন জয় মাহমুদ। তিনি উপজেলার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমান ও রোজিনা বেগম দম্পতির বড় সন্তান।
জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ বলেন, মুক্তির পর জয় মাহমুদ অন্যের ফোন থেকে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা জাহাজে দুবাই বন্দরের দিকে যাচ্ছেন। সেখান থেকে নেমে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন।
জয়ের বাবা জিয়াউর রহমান ছেলের মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, গত এক মাস ধরে যে উৎকণ্ঠা আর হতাশায় দিন কেটেছে, তা অবশেষে দূর হয়েছে। এখন ছেলে কবে বাড়ি ফিরে আসে সেই অপেক্ষায় আছি।
মা রোজিনা বেগম বলেন, জলদস্যুদের হাতে ছেলের আটকের খবর শোনার পর থেকে এক মাস ঠিকমতো নাওয়া-খাওয়াও করতে পারিনি। পরে শনিবার দিবাগত শেষরাতে ছেলে ফোন দিয়ে মুক্তি পাওয়ার খবর দেওয়ার পর থেকে শরীরে শক্তি ফিরে পেয়েছি।
এবার ঈদের দিন কোনো আনন্দ ছিল না, কিন্তু মুক্তির খবরে ঈদের আনন্দকেও হার মানিয়েছে। তিনি সরকার এবং জাহাজ মালিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হয়েছিলেন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং জয় মাহমুদসহ ২৩ জন নাবিক।
মেসেঞ্জার/আরিফুল/তারেক