ছবি: সংগৃহীত
হেলিকপ্টারে উড়ে বিয়ে করতে আসছেন বর। তাকে বরণ করতে ভিড় করেছেন গ্রামবাসী। তপ্ত রোদে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটে সবার মাথার ওপরে ভোঁ ভোঁ করতে থাকে হেলিকপ্টার। যা দেখে হৈ-হুল্লোড় শুরু করেন গ্রামবাসী।
এমন রাজকীয়ভাবে বিয়ে করতে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে আসেন একই উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের কালাম শেখের ছেলে শেখ মনির (২৬)। তিনি পেশায় একজন সরকারি চাকরিজীবী।
কনের নাম মোছাম্মাৎ তাবাচ্ছুম (১৯)। তিনি নারায়ণপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী নজরুল ইসলামের মেয়ে।
শুক্রবার (৩ মে) দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিটে পাংশা জর্জ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করার পর সেখান থেকে বরকে বরণ করে প্রাইভেটকারে বাড়িতে নিয়ে আসেন কনেপক্ষ। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে নববধূকে নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে শেখ মনির আকাশে উড়াল দেন।
শেখ মনির বলেন, আমার বড় বোন লাকি ও দুলাভাই মাসুদ মিয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ইচ্ছা ছিল আমাকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাবে। তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করতেই আজ হেলিকপ্টারে বরযাত্রী নিয়ে এসে বিয়ে করলাম। এতে আমি খুব খুশি।
কনে মেছাম্মাৎ তাবাচ্ছুম বলেন, সচরাচর হেলিকপ্টারে বিয়ে হয় না। আমার বর হেলিকপ্টারে বরযাত্রী নিয়ে এসেছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। এজন্য আমার খুব ভালো লাগছে।
কনের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের ইচ্ছাতে হেলিকপ্টারে বরযাত্রী এসেছে। আমরাও তাদের সাদরে গ্রহণ করেছি। খুব ভালো লাগছে।
বরের দুলাভাই মাসুদ মিয়া বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি আমার ও আমার স্ত্রী লাকির খুব বেশি ইচ্ছা ছিল মনিরকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাবো। সেই ইচ্ছাটা আজ পূরণ হলো। ওদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়, সবাই দোয়া করবেন।
প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টারে এমন রাজকীয় বিয়ে দেখে উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসী।
গ্রামবাসী জানায়, এই অঞ্চলে এ ধরনের বিয়ে এটাই প্রথম। এর আগে কোনদিন এরকম রাজকীয় বিয়ে হয়নি। বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। এতো অল্প দূরত্বের পথে এই আয়োজন সত্যি ব্যতিক্রম।
জানা গেছে, হেলিকপ্টারে বরযাত্রী আসা যাওয়ার জন্য তিন ঘণ্টায় খরচ গুনতে হয়েছে দেড় লাখ টাকা।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার