ছবি : মেসেঞ্জার
বালু উত্তোলনের জন্য বালু মহাল ও ইজারা ছাড়াই নরসিংদীর মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদে ড্রেজার বসিয়ে বালু অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে।
গেলো দেড় মাস ধরে উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের দশদোনা গ্রামের পাশ ধরে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা।
বালু উত্তোলনের বিষয়টি জানার পর ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান। জানা যায়, শুকুন্দী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য তাঁরা মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩৫) এর নেতৃত্বে ও একই এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ফজলুল হকের ছেলে হাসেম প্রধান,ছাদেক প্রধান এর ছেলে খোরশেদ প্রধান, সিদ্দিক পিউন এর ছেলে রফিকুল ইসলাম এর যোগসাজশে দিনেদুপুরে প্রকাশ্যেই তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।
সুমন মিয়া বলেন, "অল্প কিছু মালামাল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাগবো চিন্তা কইরা ১৬-১৭ দিনের মতো উঠানো হয়ছে। কি প্রতিষ্ঠানে লাগবো,কোন প্রতিষ্ঠানে লাগবো এসিল্যান্ড অফিসে জমা দেওয়া আছে, যারা যারা আবেদন করছে সবাইরে দেওয়া হয়ছে। আর কিছু রাস্তায়ও দেওয়া হয়ছে"।
এসিল্যান্ড অফিসে আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং উপজেলা ভূমি অফিসকে অবগত করেই বালু উত্তোলন করছেন কিনা জানতে চাইলে সুমন বলেন, " আপনি ভাই সাদী (স্থানীয় এমপি ও শিল্পমন্ত্রী পুত্র) সাবের সাথে কথা কন,সাদী সাবের নাম্বার আছে? কার সাথে কথা বলবো পুনরায় জানতে চাইলে তিনি আর কথা বলতে চাননি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, প্রকাশ্যে অবৈধভাবে কৃষিজমির ক্ষতি করে তারা বালু উত্তোলন করলেও তাদের ভয়ে কারো মুখ খোলার সাহস নেই।
নদী থেকে বালু উত্তোলন করে তারা আশেপাশের এলাকাগুলোতে ৩-৪ টাকা ফুট ধরে বিক্রি করছেন আর ওইদিকে কৃষকের জমি ভেঙে নদীতে পড়ছে।
মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাছিবা খান বলেন, ওই এলাকায় আমাদের বালু মহাল নেই,ইজারা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। ওখানকার বালু উত্তোলনের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নেই। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেসেঞ্জার/কাউছার/তারেক