ঢাকা,  বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

গরুর খামার করে ছয় বছরে কোটিপতি গোপালগঞ্জের গিয়াস

আশিক জামান অভি (গোপালগঞ্জ)

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ২১ মে ২০২৪

আপডেট: ১৮:৫০, ২১ মে ২০২৪

গরুর খামার করে ছয় বছরে কোটিপতি গোপালগঞ্জের গিয়াস

ছবি : মেসেঞ্জার

চারটি গরু দিয়ে খামার শুরু করে গিয়াস এখন কোটিপতি। ঢাকা নিউ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে এমবিএস পাস করে ২০১৪ সালে দেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন গিয়াস উদ্দিন।

পরের অধীনে চাকরি না করে নিজে কিছু করার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। ২০১৮ সালে নিজের ১০ একর পতিত জমিতে চারটি গাভি দিয়ে শুরু করেন দুগ্ধ খামার। এখন তার খামারে গরুর সংখ্যা প্রায় শতাধিক।

শুধু তাই নয়, খামার থেকে উৎপাদিত দুধ দিয়ে ঘি, ছানা, দই, রসমালাই, রসগোল্লাসহ বাহারি মিষ্টি তৈরি করছেন। আর এসব মিষ্টি বিক্রি করছেন নিজের তিনটি শোরুমে। এখন তার খামার থেকে প্রতি মাসে আয় হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা। সব মিলিয়ে এখন তিনি একজন সফল খামার।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (৩০)। কর্মজীবনের শুরুতে ছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার। তবে ছোটবেলা থেকেই তার চিন্তাধারা ছিল ভিন্ন। পরের অধীনে চাকরি না করে হবেন উদ্যোক্তা। তাইতো ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে মাত্র চারটি গরু দিয়ে শুরু করেন খামার। মাত্র চার বছরে তার খামারে গরুর সংখ্যা শতাধিক।

গিয়াসের খামারের নাম অগ্র ডেইরি ফার্ম। প্রতিদিন খামার থেকে প্রায় ৫০০-৭০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। আর এই দুধ দিয়ে দই, ছানা, ঘি সহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন তৈরি করে নিজের প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করছেন। খামার ও মিষ্টির শোরুম মিলে ১৫টি পরিবারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতি কর্মচারীর বেতন ২০-৩০ হাজার টাকা।

এছাড়া প্রতি বছর গাভিগুলো থেকে জন্ম নিচ্ছে পঞ্চাশটিরও বেশি বাছুর। সেগুলো একটু বড় হলেই বিক্রি করে হচ্ছে বাড়তি আয়। সেইসঙ্গে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় নিজের খামারে পরম যত্নে পালন করা বিভিন্ন প্রজাতির ষাঁড় বিক্রি করে টাকা আয় করেন।

চার বছরে গিয়াস উদ্দিন আবাসনসহ প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। গিয়াসের এমন সফলতায় খুশি এলাকাবাসী।

উদ্যোক্তা গিয়াস জানান, একজন সফল খামারি বা উদ্যোক্তা হতে হলে ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে তাহলে সফলতা আসবেই।

মেসেঞ্জার/আপেল