মান্না দে। ছবি: ফেসবুক
মাইগ্রেনের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মান্না দে। সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি মাইগ্রেনের ব্যাথার কথা জানিয়েছেন।
বুধবার (২২ মে) সদর থানার চন্দ্র দিঘলিয়া ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার থানা পাড়া এলাকার বাবুল কুমার দের ছেলে।
মান্না দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১০-১১ সেশনের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক। পরে তিনি গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগ দেন।
মৃত্যুর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মান্না দে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, প্রতিনিয়ত মস্তিষ্কের নিউরনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। মাইগ্রেন এক অভিশাপের নাম। মাইগ্রেনের কাছে হেরে গেলাম। জীবনযুদ্ধে আমি পরাজিত।
গোপালগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার দুপুরে সংবাদ পেয়ে গোপালগঞ্জ থানার চন্দ্র দিঘলিয়ায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভেঙে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আপাতত মনে হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/হাওলাদার