ছবি : মেসেঞ্জার
রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক প্রার্থীর সমর্থককে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৯ মে) ভোটগ্রহণ চলাকালে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পারিলা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর ওই ভোটকেন্দ্রটি একেবারে ফাঁকা হয়ে পড়েছে।
আহত আব্দুল মোমিন (৩০) উপজেলার পারিলা চকপাড়া গ্রামে শুকটার ছেলে। আব্দুল মোমিন ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হকের সমর্থক। ঘটনার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এমদাদুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ডাবলুর সমর্থকেরা মোমিনকে ছুরিকাঘাত করেছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।
খবর পেয়ে দুপুরে পারিলা গিয়ে আহত মোমিনের রক্তমাখা কাপড় নিয়ে বসে ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোমিনসহ আরও কয়েকজন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সমর্থক অটোরিকশায় চড়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন।
এ সময় ভোটকেন্দ্রের সামনে আনারস প্রতীকের সমর্থক পাভেল, পুলক, স্বদেশ, সাইম, শাওন, ফরহাদুল, সাগর, হৃদয়, জাকির, মনি, মোসাব্বির, সোহানসহ প্রায় ২০-২৫ জন মোমিনকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন।
একপর্যায়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তারা সরে গেলে এমদাদুল হকের সমর্থকেরা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান।
বুধবার দুপুরে ঐ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রের সামনেই পারিলা বাজার। প্রতিটি দোকানপাট বন্ধ। বাজারে একজন মানুষও ছিলেন না। মাঝে মাঝে একজন-দুজন ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিচ্ছিলেন।
ভোটকেন্দ্রের পূর্ব পাশে তালুকদীর পারিলা মোড়ে বসে ছিলেন আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা। আর পশ্চিম দিকে তরফ পারিলা গ্রামে বসে ছিলেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক ও তাঁর সমর্থকেরা। এমদাদুল হক বসে থেকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কল করে অভিযোগ করছিলেন। তিনি বলেন, ফারুক হোসেন ডাবলুর সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এর বিচার চান।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ডাবলুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। নম্বরটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী বলেন, কেন্দ্রের বাইরে কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। কেন্দ্রের ভেতরে কিছু হয়নি। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ৪ হাজার ২৫৭ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯২২ জন ভোট দিয়েছেন
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/আপেল