ঢাকা,  বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সরকারি রাস্তাও দখলের অভিযোগ বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ২ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৮:১৮, ২ জুন ২০২৪

সরকারি রাস্তাও দখলের অভিযোগ বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে

ছবি : মেসেঞ্জার

গোপালগঞ্জ সদরে সরকারি রাস্তা দখলের পর বহুতল গেট নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল এলাকার পাকা পিচ ঢালাই রাস্তা দখল করে নিজ মালিকানা সাভানা ইকো রিসোর্টে ব্যবহার করছেন তিনি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না গ্রামবাসী।

অভিযোগ রয়েছে চলাচল করতে গিয়ে রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে মার খেয়েছে অনেকে। রিসোর্টটির মালিক পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় দিনের পর দিন সহ্য করে গেছেন এলাকাবাসী। অভিযোগের সাহস পায়নি তারা।

তবে সম্প্রতি নতুন করে এই রিসোর্টটি আলোচনায় আসায় সরকারি রাস্তাটি দখলদারের হাত থেকে উদ্ধার করে গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।

জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বৈরাগীটোল এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে দুই কিলোমিটার পাকা রাস্তা নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এরমধ্যে এক কিলোমিটার সড়ক পড়েছে সাবেক আইজিপি বেনজীরের ইকো রিসোর্টের মধ্যে দিয়ে।

রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকেই প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে দখলে নেয় বেনজির। বহুতল গেট নির্মাণ করে বন্ধ করে দেওয়া হয় জন সাধারনের চলাচল। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন অনেকেই। তবে পুলিশ কর্মকর্তার রিসোর্ট হওয়ায় কখনো অভিযোগ করার সাহস করেনি এলাকাবাসী।

স্থানীয় তারেক আহমেদ নামে একজন জানান, সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজির অবৈধভাবে রাস্তার উপর গেট নির্মাণ করে আমাদের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা আমাদের জমির উৎপাদিত ধান, সবজি, মাছ সহ নানা ফসল আনতে যেতে পারি না।

সরকারি রাস্তা থাকার পরও আমাদের বিলের কাঁদা পানির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই, আমমাদের গ্রামবাসীর চলাচলের জন্য রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।

সরকারি রাস্তা কেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মী সাহেদ বলেন, আমার অথোরিটি জানে। আর এতদিন দখল করে রাখছে কেউ আসে নাই। এখন হাতি বিপদে পড়ছে তাই সবার নজর পড়ছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবলী নাজনীন জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমি আমার তহশিলদারকে পাঠাচ্ছি। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমরা খুব দ্রুতই উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

মেসেঞ্জার/অভি/আপেল