ছবি : মেসেঞ্জার
ঘুমের মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ সেবন করে নেত্রকোনায় কর্মরত রুবেল মিয়া (২৭) নামে এক পুলিশ সদস্য মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।
রুবেল মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে চেষ্টা করেও এ বিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালামের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ সদস্য রুবেল মিয়া নেত্রকোনা মডেল থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে।
জানা গেছে, স্ত্রী ও এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে তিনি নেত্রকোনা কোর্ট স্টেশন এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তবে গত সপ্তাহে স্ত্রী-সন্তান গ্রামের বাড়িতে চলে যাওয়ায় থানার ব্যারাকে বসবাস করে আসছিলেন।
এরইমধ্যে রোববার (৯ জুন) রাতে তিনি ওই থানার ব্যারাকে ঘুমের অতিরিক্ত (১৪০টি) ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (১১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দায়িত্ব পালন শেষে প্রতিদিনের মতো তিনি রোববার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার ব্যারাকে রাতের খাবার খান। এরপর তিনি তার ফেসবুক আইডিতে মৃত্যুর বিষয়টির ইঙ্গিত দিয়ে ‘দ্যা এন্ড’ লিখে স্ট্যাটাস দেন। এটি রাত ১২টার দিকে তার ছোট ভাই দেখতে পেয়ে ৯৯৯-এ কল করে জানান। পরে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করে।
ঘটনা জানার পর নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ তাকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১১ জুন) বিকেল ৫টার দিকে রুবেল মিয়া মারা যান।
এ বিষয়ে বিষয়ে রুবেল মিয়ার পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য জানতে তাদের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, কনস্টেবল রুবেল মিয়া প্রায় দেড় বছর আগে নেত্রকোণা মডেল থানায় যোগদান করে। পারিবারিক কলহের কারণে সে অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ই সে মারা যায়।
এ বিষয়ে নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন, পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মিয়া ১৪০টি ঘুমের বড়ি খেয়ে মারা গেছেন। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, স্ত্রী জেসমিন আক্তারের সাথে কলহ চলছিল।
মেসেঞ্জার/জিয়াউর/তারেক