ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

বগুড়ায় ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না কোরবানি দাতারা

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশিত: ২১:২৩, ১৭ জুন ২০২৪

বগুড়ায় ন্যায্য মুল্য পাচ্ছে না কোরবানি দাতারা

ছবি : মেসেঞ্জার

বগুড়ায় চামড়ার ন্যায্য মুল্যে পাচ্ছে না কোরবানি দাতা। ফলে এ অর্থ ভুগিরাও বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ছাগল, ভেড়ার চামড়া কিনকে অনীহা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০-৫০ এবং গরুর চামড়া ৩ শত থেকে ৮ শত টাকায় কেনা হচ্ছে।

ফলে ছাগল, ভেড়ার চামড়া নিয়ে  বিপাকে পড়েছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আগত ফুড়িয়া ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (১৭ জুন) বগুড়া শহরের থানার মোড় থেকে শুরু করে চকসুত্রাপুর চামড়া গুদাম পর্যন্ত স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি অস্থায়ী শতাধিক স্টল বসিয়েছে। বিকেল থেকে কিছুটা চামড়া কেনাকাটা শুরু হলেও সন্ধ্যার পর জমজমাট হয়ে উঠে। কিন্তু এসব চামড়া ব্যবসায়ীরা সরকার নিধারিত দামে  গরুর চামড়া না কেনার অভিযোগ কোরবানি দাতা ও গ্রামে ঘুরে ক্রেতা ফুড়িয়া ব্যবসায়ীদের। আর ছাগল ভেড়ার চামড়া গরুর চেয়ে ছোট হওয়ায় এখানকার অনেক ব্যবসায়ীরা অনেকেই কিনছেন না। 

বগুড়ার পাইকারি বাজারে গরু ছোট ৩-৪ শত টাকা,বড় ৫-৮ শত টাকায় বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। প্রশাসনের পক্ষে তেমন নজর দারি নেই। ফলে যেন তেন দামে চামড়া কিনছে এখানকার ব্যবসায়ীরা। 

কাহালু উপজেলার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত এলাকায় ঘুরে গরু,ছাগল,ভেড়ার চামড়া কিনে বগুড়ায় এসে গরুর চামড়া বিক্রি করতে পারলেও ছাগল, ভেড়ার চামড়া কেউ কিনতে যাচ্ছে। অবশেষে একজনকে বললাম ভেড়া ছাগলের চামড়া প্রতিটি ৩০-৫০ টাকা করে বিক্রি করতে হল।

জেলার গাবতলী উপজেলা থেকে আগত আজাহার আলী জানান, গরুর চামড়া সরকারি ভাবে ঘোষিত দামে এখানকার ব্যবসায়ীরা কিনছেন না। সরকার দাম ঘোষণা করায় কোরবানি দাতাদের নিকট থেকে চামড়া কম দামে কেনা যায়নি। এ দামে চামড়া বিক্রি করে লাভ হবে না।

সদর উপজেলার আশোকোলা এলাকার আনোয়ার হোসেন মতিন জানান, গরুর এত দাম, মাংসের এত দাম, শুধু চামড়ার দাম নেই। সরকার ঘোষিত দামে কোন ব্যবসায়ী চামড়া কিনছে। ফলে পানির দামে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে। 

সদর উপজেলা বাঘোপাড়া এলাকার সহিদুল ইসলাম জানান, দেড় লাখ টাকার গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এলাকায় গরুর চামড়ার দাম কম বলায় পাইকারি বাজারে এনে ৪ শত টাকায় বিক্রি করলাম। আমরা ৫ ভাগে এ গরু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এই ৪ শত টাকা ৫ জনের মধ্যে ভাগ করাও ঝামেলা। আর যারা এসব টাকার দাবিদার তারাও টাকার পরিমানে কম পাচ্ছে। ফলে দাম কম হওয়ায় বঞ্চিত হচ্ছে দুস্থরা।

রেল গেট এলাকায় অস্থায়ী পাইকারি চামড়া ক্রেতা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, গরুর চামড়া ৩ শত থেকে ৮ শত টাকা দামে কেনা হচ্ছে। বড় চামড়াই দাম নেই, সেখানে ছাগল, ভেড়ার চামড়ার দাম কেমন হবে। 

বগুড়া চামড়া ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন সরকার জানান, সরকারের নিধারিত দামেই চামড়া কিনা হচ্ছে। কিন্তু এবার যে লবনের দাম তাতে এখানকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারবে না। প্রতিটি গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ৩ শত টাকাও বেশি খরচ পড়ে যায়। ছাগল,ভেড়ার চামড়া ছোট তাই কম সংখ্যক এসব চামড়া ক্রয় করে।

বগুড়া সদর উপজেলা নিবাহী কমকর্তা ইউএনও ফিরোজা পারভীন জানান, ব্যাপক উৎসাহ উদ্বেপনার মধো দিয়ে  কোরবানি শেষ হয়ে। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়ায় জমজমাট ভাবে চামড়া কেনাকাটা হচ্ছে। কারো কোন অভিযোগ নেই।

মেসেঞ্জার/দিশা