ছবি : মেসেঞ্জার
পেঁয়াজের রাজধানী খ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় এবছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে৷ উপজেলার প্রায় ১০ একর জমিতে পরীক্ষামুলকভাবে পেঁয়াজের আবাদ হয়।
জানা যায়, সালথা উপজেলা পাট ও পেঁয়াজের জন্য খুবই বিখ্যাত। বর্তমান চলছে পাটের মৌসুম। তারপরও গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন অনেকেই।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, হালি পেঁয়াজ তেমন ভালো না হলেও বীজ বোপন করা পেঁয়াজ ভালোই লক্ষ্য করা যাচ্ছে জমিগুলোতে। গাছের গোড়ায় গোল আকারে নামতে শুরু করছে পেঁয়াজ। ফলনের আশায় বুক বেঁধেছেন এখানকার বেশ কয়েজন চাষীরা।
আবার পেঁয়াজের গাছ মরে ক্ষেত ফাকা হয়ে যাওয়ার কারণে কতিপয় চাষীর স্বপ্ন নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা যায় ।
উপজেলার কৃষক অরুণ, মোতালেব, নয়ন, সেলিম নামে কয়েক চাষীর সাথে কথা বললে তারা জানান, শীতকালে আমাদের এলাকায় প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়। তাই গ্রীষ্মকালীন সময়েও আমরা পেঁয়াজের আবাদ করেছি। যেসব জমিতে হালি পেঁয়াজ লাগানো হয়েছে সেগুলো তেমন ভালো হয়নি। এ কারণে লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে আমাদের।
তারা আরও জানান, পেঁয়াজের বীজ বোপন করা ক্ষেতের পেঁয়াজ মোটামুটি ভালোই দেখা যাচ্ছে। গাছের গোড়ায় পেঁয়াজ নামতে শুরু করেছে। এটা ২০/২১ দিন পরে ক্ষেত থেকে উত্তোলন করা যাবে। এই গ্রীষ্মকালীন সময়ে পেঁয়াজের আবাদ কিভাবে করতে হবে? কিভাবে করলে ভাল ফলন পাবো সে বিষয়ে আমাদের আরো জানতে হবে । আশা করি আগামীতে বেশি করে আবাদ করবো।
ফরিদপুরের উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস জানান, এ বছর পরীক্ষামুলকভাবে ১০ একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। কিছু ক্ষেতে ভালো হয়েছে। আর যেসব ক্ষেতে পানি জমে থাকে সেসব ক্ষেতের পেঁয়াজ ভালো হয়নি। তবে বেলে-দোঁআশ মাটিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী। হালি পেঁয়াজ রোপনের চেয়ে এই মৌসুমে পেঁয়াজের বীজ বোপন করা ভাল।
মেসেঞ্জার/শাহেদ