ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

পটুয়াখালীর

ম্যাজিস্ট্রেটকে ষড়যন্ত্রকারী বলে আখ্যা দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:১৬, ২২ জুন ২০২৪

ম্যাজিস্ট্রেটকে ষড়যন্ত্রকারী বলে আখ্যা দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

ছবি : মেসেঞ্জার

সম্প্রতি জেল হাজত থেকে বের হয়ে পটুয়াখলীর বাউফলের চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেটকে অর্থলোভী ও ষড়যন্ত্রকারী বলে আখ্যা দিলেন বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার।

১৯ দিনের কারাবরন শেষে জামিনে বেড় হয়ে এক পথসভায় তিনি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আশিকুর রহমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন— যে ষড়যন্ত্র নিয়ে আমাকে গ্রেফতার করেছিলো এবং তাদের যে উদ্দেশ্য ছিলো তাতে তারা সফল হতে পারে নাই। আমার নেতা জনাব আ স ম ফিরোজ এমপি সাহেবের হস্তক্ষেপের কারনে তারা সফল হইতে পারে নাই।

যে ম্যাজিস্ট্রেট এর কোর্টে আমার মামলা ছিলো জনাব আশিকুর রহমান সাহেব উনি একজন ষড়যন্ত্রকারী অর্থলোভী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি আরও বলেন কোন ষড়যন্ত্রকারী আ স ম ফিরোজ এমপির কোন সৈনিককের কোন কাজকে ব্যহত করতে পারবে না। আমি শাহিন হাওলাদার আমি কোন ভয়ে ভিত নই। পথসভায় তিনি কতিপয় ব্যক্তীদের উদ্দেশ্য করে বলেন সাবধান হয়ে যান ভব্যিষৎ খারাপ, আমি শাহিন চেয়ারম্যান এখন ও ২ বছর চেয়ারম্যান আছি। তবে এবিষয়টি অস্বীকার করে শাহিন হওলাদার বলেন—আমি এমন কোন বক্তব্য দেইনি এটা কিভাবে কিকরে এডিট করা হয়েছে তা আমার জানা নেই।

বিশেষ সুত্র বলছে বাউফল উপজেলা নির্বাচনে মোঃ মোশারফ হোসেন খান এর নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয় মোঃ শাহিন হাওলাদার । অপরদিকে মোঃ মতলেব হাওলাদার এর হয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেয় স্কুল শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম। তাদের এই পক্ষপাতিত্ব করা নিয়ে অভ্যন্তরীন কোন্দল সৃষ্টি হয়। গত ২০ মে নির্বাচনী প্রচারনা শেষে শহিদুল বাড়ির পথে রওনা হলে আয়লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে তার বাড়ির সামনে অভিযুক্ত শাহিন শহিদুলের ব্যাক্তীগত গাড়ীর গতিরোধ করে।

পরে এক পর্যায়ে ধাড়ালো দেশীয় অস্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য কোপ দিলে শহিদুল তার বাম হাত দিয়ে তা রোধ করে। তখন তার বাম হাতের কব্জি কেটে ঝুলে যায়। এসময় শাহিন হাওলাদারে সাথে নাম না জানা আরও ২/১ জন ছিলো বলে জানা যায়। এবিষয়ে ভুক্তভোগী শহিদুলের ভাই মোঃ এরশাদ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করে। পরে বাউফল থানা পুলিশ পরদিন ২১ মে বিকাল সাড়ে ৪ টায় শহিন হাওলাদারের নিজ বাসা থেকে আটক করে। পরে শাহিন গত ০৯ জুন জামিনে ছাড়া পায়।

এদিকে জামিনে ছাড়া পেয়ে স্কুল শিক্ষকের বসতবাড়ি জোড়পূর্বক দখেলের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলামের দাবি দীর্ঘদিন জেল হাজত খেটে শাহিন জামিনে বোড়িয়ে আসে। জেল থেকে বেড় হওয়ার পর থেকেই আমার বসতবাড়ি জোড়পূর্বক দখলের চেষ্টা করছে এবং আমাকে ও আমার পরিবারকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। আমি আমার বসতবাড়ীতে থাকতে পারতেছি না।এবিষয়ে ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলামের ভাই মোঃ এরসাদ হোসেন গত ১৩ জুন বাউফল থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন। ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম বিরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাউফল উপজেলার আয়লা গ্রামের বাসিন্দা।

শহিদুল ইসলামের বাড়ি দখলের বিষয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার বলেন— ওড়া আমার জমি জোড়পূর্বক ভোগ দখল করছে আমি কেন জমি দখল করতে যাবো। তিনি উল্টে প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন ওদের কাগজ আছে কিনা আপনারা চেক করে দেখেন।

জোরপূবর্ক জমি দখলের বিষয় বাউফল থানার অফিস ইনচার্জ শোনিত কুমার গাইন বলেন— তদন্তাধীন আছে, কোর্ট বাদী বিবাদী কে ডাকবে কোর্ট যে সিধান্ত দিবে সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেসেঞ্জার/মানিক/আজিজ

×
Nagad