ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের ৮দিন পর কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৩৩, ২৩ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৪:২৮, ২৩ জুন ২০২৪

ঈশ্বরদীতে নিখোঁজের ৮দিন পর কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

ছবি : মেসেঞ্জার

পাবনার ঈশ্বরদীতে মাদক সেবন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে তপু হোসেন (১৪) নামে এক কিশোর হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২২ জুন) রাত ১২ টায় উপজেলার সরকারী কলেজের পাশে মশুরিয়াপাড়া এলাকার অরন্য ছাত্রাবাসের ৩য় তলার ৩০৫ নং রুম থেকে নিখোঁজের ৭ দিন পর নিহত তপুর ট্রাংকবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, গত ১৫ জুন ঐ কিশোরকে অনেক খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় পরদিন ১৬ জুন তাকে নিখোঁজ উল্লেখ করে নিহতের মা (মজিরন বেগম) ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেন। ছাত্রাবাসের ২য় তলারেএক ছাত্র জানায়, ঈদের পর আজ দুপুরে তারা নিজ সিটে ফিরে আসে, প্রচন্ড গন্ধ আসায় উৎস খুঁজতে গিয়ে তারা ৩য় তলার মেঝেতে রক্ত ও ৩০৫ নং রুমে একটি ট্রাংক দেখতে পায়, পরে বাড়ির মালিককে ডেকে পুলিশে খবর দেয়। এর পরপরই পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি, পিবিআই ও পাবনা জেলা পুলিশ সুপার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং নিখোঁজ তপুকে ট্রাংক বন্দী অবস্থায় দেখতে পান। নিহত তপু ঐ এলাকার রিক্সা চালক আবুল কাশেমের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ঈদের দুইদিন আগে মাদক সেবন নিয়ে তপুর সাথে কথা কাটাকাটি হয় স্থানীয় কয়েকজন যুবকের। পরে তারা কৌশলে ডেকে নিয়ে তপুকে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ ট্রাংক বন্দী করে উল্লেখিত ঐ ছাত্রাবাসের ৩০৫ নং রুমের মধ্যে রেখে পালিয়ে যায়। এর আগে নিখোঁজের পরদিন হত্যাকারীরা তপুর বাবার মুঠোফোনে কল দিয়ে বিকাশে ৩০ হাজার টাকা দাবী করেন,নিহতের বাবা ১০ হাজার টাকা বিকাশে দিয়ে দেন। বিকাশে টাকা আদানপ্রদানের সূত্র ধরেই পুলিশ আলিফ হোসেন ও মনিরুজ্জামান সহ তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে।

সিআইডি জানায় তপুর লাশ টুকরো টুকরো করা হয়নি, ট্রাংকের ভেতরে ভাজ করে রাখা ছিলো। নিহত তপুর মরদেহ ও আলামত উদ্ধার করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

মেসেঞ্জার/দেওয়ান/আজিজ

×
Nagad