ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

হাজীগঞ্জে জিআর প্রকল্পের ৮৩ বস্তা চাল উদ্ধার, চেয়ারম্যান পলাতক

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:০০, ২৫ জুন ২০২৪

হাজীগঞ্জে জিআর প্রকল্পের ৮৩ বস্তা চাল উদ্ধার, চেয়ারম্যান পলাতক

ছবি : মেসেঞ্জার

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০ নম্বর গর্ন্ধব্যপুর ইউনিয়নের পৃথক দুইটি স্থান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সরকারি ৮৩ বস্তা চাল ও খালি আরো ৮টি বস্তা উদ্ধার করেছে।

এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। চাউল উদ্ধারের ঘটনায় গা ঢাকা দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু। এ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গরীবের জন্য বরাদ্ধকৃত ঈদ উপহারের চাউল আত্মসাতের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চুকে বাঁচাতে তৎপর রয়েছে একটি অবৈধ শক্তি।

সোমবার (২৪ জুন) রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিন্টু দত্ত ইউনিয়নের দেশগাঁও মাইজের বাড়ি ও আটিয়া বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান বলেন, অভিযানে ওই বাড়ির মমিনের বসতঘর থেকে ২২ বস্তা সরকারি চাল, চালের আটটি খালি বস্তা ও জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘর থেকে ৬১ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এই চাল প্রধানমন্ত্রী দেয়া ঈদ উপহারের জিআর প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু কারসাজি করে এই চাল গোপনে বিক্রি করার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ও মমিনের জামাতাকে আটক করেছে।

অভিযানের সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসাইনসহ পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত ছিল।

স্থানীয়রা ক্ষুব্দ হয়ে জানান কোরবানির পূর্বে প্রত্যেক গরীব মানুষকে ১০ কেজি চাউল দেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ট্যাগ অফিসারের যোগসাজসে আমাদেরকে মাত্র ৫/৬ কেজি করে চাউল দিয়ে বাকী চাউল আত্মসাত করেছে। আজ চোর ধরা খাইছে।

হাজীগঞ্জ এলএসডি গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুঠো ফোনে জানান, তদন্ত করার জন্য হাজীগঞ্জ থানার একজন এসআই ও উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা গোডাউনে চাউলের বস্তাগুলো মিলাচ্ছে। চাউল গুলো জিআর এর চাউলই ধারনা করা হচ্ছে। কারণ গত কয়েক দিনে আমার গোডাউন থেকে যতোগুলো চাউল বের হয়েছে সবগুলোর গায়ে সুনামগঞ্জ লেখা ছিলো। এতে বুঝা যাচ্ছে চাউলগুলো জিআর এরই হবে।

তিনি বলেন, একই নামে এ গোডাউন থেকে কাবিখার চাউলও সাপ্লাই দেয়া হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা বলেন, কাবিখার চাউলতো সবাই বাজারেই বিক্রয় করে দেয়। এ চাউল গ্রামে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।

এ ঘটনায় জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বলেন, এ চাউলগুলো কাবিখার। স্থানীয় মেম্বার এ চাউলগুলো গ্রামের লোকদের কাছে বিক্রয় করেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেম্বার পলাতক কিনা তা আমি বলতে পারবোনা।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল জানান, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর জানাযাবে চাউলগুলো জিআর এর কিনা।

মেসেঞ্জার/আজাদ/আজিজ

×
Nagad