ছবি : মেসেঞ্জার
মুন্সিগঞ্জ সদরে ধলেশ্বরী নদীর তীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আজও দ্বিতীয় দিনের মত অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১১ টা থেকে শুরু হাওয়া দ্বিতীয় দিনের অভিযান চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
প্রথমে স্থানীয় অবৈধ দখলকারীদের বাঁধায় উচ্ছেদ কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হলেও পরে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শক্তিশালী ভেকু দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ প্রায় অর্ধশতাধিকের বেশি অবৈধ স্থাপনা। এতে টানা ৬ ঘন্টার অভিযানে নদীর তীরের অন্তত তিন একর জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএ'র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল হক। তিনি জানান, মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত ১০৩ টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করে গতকাল বুধবার সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয় বিভিন্ন স্থানে।
পর্যায়ক্রমে আজও বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দ্বিতীয় দিন বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উচ্চ আদালতে নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর তীর দখলমুক্ত করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এর আগে মাইকিং করে এসব অবৈধ দখলকারীদের নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হলেও সেটি মানা হয়নি।
ফলে বিধি অনুযায়ী আইন মোতাবেক পর্যায়ক্রমে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। ভবিষ্যতেও অবৈধ দখলকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া পুণরায় দখল ঠেকাতে উচ্ছেদকৃত জায়গায় ওয়ার্কওয়ে নির্মাণের পাশাপাশি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নদীর জায়গা দখলমুক্ত করে সেখানে নির্দেশনা মূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।
এরপরও যদি কেউ নির্দেশনা অমান্য করে নদীর তীর দখল করে তাহলে পর্যায়ক্রমে আবারও অভিযান পরিচালনা করে তাদের উচ্ছেদ করা হবে।
মেসেঞ্জার/শুভ/আপেল