ছবি : মেসেঞ্জার
যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের সিটি হসপিটালে সিজারের পর প্রসূতি কাজলের (২৬) মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডা. মীর আবু মাউদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম তদন্ত করেছেন।
রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১ টায় তদন্ত বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সিটি হসপিটাল কর্তৃপক্ষ, সিজার টিমের সদস্যদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল নথিপত্র নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
গত ২৪ জুন রাত ১০ টার দিকে সিটি হসপিটালে যশোর সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের স্ত্রী কাজলকে সিজার করা হয়।
অস্ত্রোপচার করেন ডাক্তার ফারজানা পারভীন। অজ্ঞানের চিকিৎসক ছিলেন ডা. আহসান কবির বাপ্পি। সিজারের পর রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ জুন ভোরে প্রসূতি কাজল মারা যান। এ ঘটনায় তার স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে হসপিটালের সামনে বিক্ষোভ করেন। ২৬ জুন সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানের নির্দেশে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদকে কমিটির সভাপতি করা হয়। বাকি দুই জন হলেন- অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসালটেন্ট ডা. শায়লা শারমিন তিথি ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ রনি।
ডা. মীর আবু মাউদ জানান, ঘটনাটি আন্তরিকতার সাথে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ৩০ জুন রোববার বেলা ১১ টায় অফিস কক্ষে তদন্ত বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে।
বোর্ডে সিটি হসপিটাল কর্তৃপক্ষ, সিজার টিমের সদস্য ও প্রসূতি কাজলের স্বামী আব্দুল হাকিমকে হাজির থাকার জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান জানান, পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য কমিটিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেসেঞ্জার/বিল্লাল/আপেল
