ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার জয়নগরের বাসিন্দা আরজ আলী সরদার পরিবেশ নীতি উপেক্ষা করে ২৭ বছর ধরে জনবহুল এলাকায় সিনহা পোল্ট্রি ফার্ম নামে মুরগির খামার গড়ে তুলেছেন। জনবহুল এলাকায় পোল্ট্রি ফার্মের বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে স্থানীয়রা আশেপাশের বসতবাড়িতে বসবাস করতে পারছে না। অন্যদিকে খামারের ১০ থেকে ১৫ মিটারের মধ্যে মসজিদ থাকায় দুর্গন্ধে সেখানে নামাজ পড়তে আসা অর্ধ শতাধিক মুসল্লির স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে দেশের বৃহত্তম মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ঈশ্বরদী ইপিজেডসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের দেশি-বিদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দা কামরুল হাসান (জিয়া) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের অনুলিপি বিভাগীয় কার্যালয় (বগুড়া), জেলা কার্যালয় (পাবনা), উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ঈশ্বরদী থানা, উপজেলা বন্যপ্রাণী কর্মকর্তা এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (১২) কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর রোববার বিকেলে পরিবেশ অধিদপ্তরের পাবনা জেলা শাখার কর্মকর্তারা পোল্ট্রি খামার পরিদর্শন করেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের পাবনা জেলা শাখার পরিদর্শক আব্দুল মমিন জানান, প্রাথমিকভাবে পোল্ট্রি খামারটি পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাস জানান, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিকে মুরগির খামারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশের ভুক্তভোগী জুয়েল রানা বলেন, "বুমি তীব্র দুর্গন্ধ নিয়ে আসে, আমি খাবার খেতে পারি না, আমার আত্মীয়রা আমার বাড়িতে আসা বন্ধ করে দেয়, বাচ্চারা অসুস্থ এবং পড়ালেখা করতে পারে না।"
তবে অভিযুক্ত পোল্ট্রি ফার্মের মালিক আরজ আলী সরদার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এই অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত পোল্ট্রি ফার্মটি যত দ্রুত সম্ভব জনবহুল এলাকা থেকে উচ্ছেদ করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
মেসেঞ্জার/দেওয়ান/আজিজ
