ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সুনামগঞ্জে আবারো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:২১, ১ জুলাই ২০২৪

সুনামগঞ্জে আবারো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি 

পৌর শহরের মাছ বাজার এলাকার ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার

হাওরাঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জে চলতি বর্ষা মৌসুমে দ্বিতীয় বারের মতো বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি আবারো বেড়েছে। যার ফলে সুনামগঞ্জ জেলা সদর, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার রাস্তাঘাট ও মানুষের বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৭০ মিলিমিটার এবং ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলের পানিতে জেলার নদী ও হাওরে পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। 

সুরমা নদীর পানি পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, দুদিন ধরে সুনামগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের উজানে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হওয়ার কারণেই মূলত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি আরও বাড়তে পারে। আগামী দুই দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলেও বড় কোনো বন্যা হবে না বলে মনে করেন তিনি।

সোমবার (১ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায় পৌর শহরের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। নতুন পাড়া, হাজি পাড়া, নবীনগর, জগন্নাথ বাড়ি সহ বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় পানি প্রবেশ করেছে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সড়ক ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে বলে জানা যায়। তাহিরপুরের যাদুকাটা নদী, চারাগাঁও, কলাগাঁও, লাকমাছড়া, চানপুর এলাকা দিয়ে পাহাড়ি ঢল নামছে বেশি। তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দুর্গাপুর ও শক্তিয়ারখলা এবং তাহিরপুরের আনোয়ারপুর এলাকায় ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় রোববার (৩০ জুন) থেকে সড়কটিতে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ আছে। স্থানীয় লোকজন এই তিন স্থানে নৌকায় পারাপার হচ্ছেন।

উল্লেখ্য; সুনামগঞ্জে গত ১৬ জুন থেকে বন্যা দেখা দেয়। একপর্যায়ে পুরো জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। প্লাবিত হয় জেলার ১ হাজার ১৮টি গ্রাম। আট লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। অসংখ্য ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়। মানুষের বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে আশ্রয় নেয় ২৫ হাজার পরিবার। ২৩ জুনের পর থেকে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে মানুষ বাড়িঘরে ফেরেন। আবার কেউ কেউ এখনো বাড়িতে ফিরতে পারেননি। মানুষের স্বস্তি ফেরার আগেই আবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

মেসেঞ্জার/দ্বিপাল/আজিজ

×
Nagad