ছবি : সংগৃহীত
সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফাকে রাজশাহীতে দাফনরাজশাহীতে থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য (এম.পি) ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক বিশেষ সম্পাদক, রাজশাহী জেলার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুর ২টায় তার মরদেহ রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ:)কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আনা হয়। সেখানে তার পঞ্চম ও শেষ জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজ শেষে মহানগরীর হেতেম খাঁ কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও এম.পি মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেকসহ রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানিয় নেতারা উপপস্থি’ত ছিলেন। এছাড়া যুবদল, ছাত্রদল, কৃষকদল, স্বে”ছাসেবক দলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
এর আগে
এর আগেত আজ সকাল ১০টায় নির্বাচনী এলাকা দুর্গাপুরে, বেলা ১১টায় পুঠিয়ার বানেশ^র কলেজ মাঠে, বেলা ১২টায় পুঠিয়ায় এবং রবিবার (৩০ জুন) বাদ আসর রাজধানীর নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে নাদিম মোস্তফার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে রবিবার প্রথম জানাজার নামাজ শেষে ঢাকা থেকে নাদিম মোস্তফার মরদেহ সড়ক পথে তার নির্বাচনী এলাকায় আনা হলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তার মরদেহ শেষ বারের জন্য দেখতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ নারী-পুরুষের ঢল নামে। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী জেলা শাখা ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি রাজশাহীর দুর্গাপুর-পুঠিয়া আসন থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন নাদিম মোস্তফা। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে এবং চার ভাইবোনসহ অসংখ্য গুণাগ্রহী রেখে যান।
উল্লেখ্য, সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা গত রবিবার (৩০ জুন) বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অব¯’ায় ইন্তেকাল করেন। এরআগে রবিবার সকালে তিনি গুলশানের বাসায় অসু¯’বোধ করলে তাকে দ্রæত ঐ হাসপাতালে নেওয়া হয়
মেসেঞ্জার/আনিসুজ্জামান/সৌরভ
