ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
২১ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

মামুন চৌধুরী, ফেনী

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ২ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১১:৪৩, ২ জুলাই ২০২৪

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

ছবি : সংগৃহীত

অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনী জেলার দুই উপজেলায় আজকের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ভারি বর্ষণ  ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় ফুলগাজী ও পরশুরাম এলাকায় পরীক্ষা নেওয়া অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার এই  প্রতিবেদক জানান, গতকাল সোমবার রাত ১১টা পরে ভারি বর্ষণ ও উজানের পানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ও কোথাও কোথাও বন্যা দেখা দেয়। এতে দুই জেলায় পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছে। রাতে ফুলগাজী বাজারে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।বেশি প্লাবিত হয়েছে মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা । 

পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হবে। গতবছর এ ভাঙন স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল। ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজারে প্রায় দুই ফুটের বেশি ওঠে গেছে।

দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতপুর থেকে জগতপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তবে সকালে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা বেকায়দায় পড়ে, তারা আগ থেকে পরীক্ষা স্থগিত জানতো না। এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন উল্লেখ করার কোন তৎপরতা দেখা যায়নি।

একটি সূএ জানিয়েছে, দৌলতপুর একালায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়েগেছে। এলাকাবাসীর ক্ষোভের সঙ্গে জানান, পানি উন্নয়ন বোড সঠিক বাঁধ সংরক্ষণ করলে পরিস্থিতি এমন হতো না। 

মেসেঞ্জার/দিশা