ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

৮ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার ও মারধরের অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ৩ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৬:৫৪, ৩ জুলাই ২০২৪

৮ বছরের শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার ও মারধরের অভিযোগ

ছবি : সংগৃহীত

পটুয়াখালী পৌর শহরের দারুল কুরআন মাদ্রাসার ১ম শ্রেণীর ৮ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে বলাৎকার ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে দারুল কুরআন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক মোঃ আহম্মদ কবির ও সহকারী শিক্ষক মোঃ মাহমুদুল হাসান এ বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মোঃ ছাদেকুল ইসলাম সোহেল পটুয়াখালীর সদর রোডস্ত প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। শিশু শিক্ষার্থীকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এ উল্লেখ্য মাদ্রাসায় ভর্তি করে ওই মাদ্রাসার আবাসিক হোটেলে রাখা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান- গত ৯ জুন বেলা ১১ টার দিকে প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসা ভবনের ৩য় তলায় সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান তার ব্যক্তিগত রুমে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান তার পুরুষাঙ্গে তেল মেখে জোড় পূর্বক যৌন কামনা চরিতার্থ করেন।

পরে শিশু শিক্ষার্থী কান্নাকাটি করলে তাকে বেধরক মারধর করে মুখমন্ডল ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করা হয়। এ অবস্থায় শিশু ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রধান শিক্ষক মোঃ আহম্মদ কবির উল্টো শিশুটিকে কাউকে না বলার হুমকি দেয়।

তিনি আরও বলেন, গত ১২ জুন শিশুটি কোরবানীর ছুটিতে বাড়িতে এলে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি তার মা মোসাঃ লাকী বেগমের চোখে পড়লে তিনি ১৫ জুন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এসময় ভুক্তভোগী ছাত্রের পিতা মোঃ ছাদেকুল ইসলাম ব্যবসায়ীক কারণে ফরিদপুর ছিলেন বলে জানান তিনি।

পরে এ বিষয়ে জানতে ছাত্রের বাবা মাদ্রাসায় গেলে তাকে গালাগালি করে মাদ্রাসা থেকে বেড় করে দেয়। পরে কল করে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করা হয়।

এ বিষয় জানতে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রধান শিক্ষক মোঃ আহম্মদ কবির ও সহকারী শিক্ষক মোঃ হাসানের মুঠেফোনে কল দিলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে উক্ত মাদ্রাসার এক শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এমন কিছু হয়নি। ওনারা মিথ্যা মামলা করেছে। ওই ছাত্র সাইকেল চালাতে গিয়ে ব্যাথা পেয়েছে। মায়ের মারের ভয়ে শিক্ষকের উপড় দোষ চাপিয়ে দিয়েছে।

পরে ওই শিক্ষকের কাছে অভিযুক্তদের ফোন নম্বর চাইলে তিনি বলেন, তাদের নম্বর নিয়ে লাভ নেই তাদের সব নম্বর বন্ধ।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জসিম বলেন এ বিষয়ে বলেন, আদালতের নির্দেশ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবো।

মেসেঞ্জার/মানিক/আপেল

×
Nagad