ছবি : মেসেঞ্জার
ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এবার সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় দুই উপজেলার অন্তত চার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৮টা পর্যন্ত মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মোট দশটি অংশে ভাঙনের তথ্য পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামতে শুরু করলেও বেড়িবাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে প্রবেশ করা পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া গত দুইদিনে মুহুরি-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দশটি স্থানে ভাঙন হয়েছে। তার মধ্যে ফুলগাজীর দৌলতপুর ও পরশুরামের দক্ষিণ শালধরের দুটি স্থানে ভাঙনের মাত্রা বেশি।
জানা গেছে, বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নে ৮টি, দরবারপুরে ৩টি, আমজাদহাটে ৫টি ও মুন্সিরহাটে ৫টিসহ মোট ২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ১ হাজার ৮০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের পানিতে মুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
মেসেঞ্জার/দিশা