ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ওপরে পানি, আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ

অদিত্য রাসেল, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১৩:১২, ৪ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৩:১৯, ৪ জুলাই ২০২৪

সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ওপরে পানি, আতঙ্কে যমুনা পাড়ের মানুষ

ছবি: মেসেঞ্জার

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্রুত গতিতে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বেড়েই চলেছে।  গত ১২ ঘণ্টায় ২১ সেন্টিমিটার বেড়ে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইসঙ্গে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেখা দিয়েছে কিছু এলাকায়। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে শত-শত ঘরবাড়ি। 

এছাড়াও যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সকল নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে প্রতিদিনই চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে কৃষকের শাকসবজি, বীজতলা ও রোপা আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা নেই। কয়েকদিন বাড়ার পরে আবার কমতে থাকবে। 

তিনি জানান, আজ সকাল ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৯১ মিটার। গত ১২ ঘণ্টায় ২১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। 

অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৬০ মিটার। ১২ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)। 

এদিকে, যমুনায় দ্রুত পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়ন, কাজিপুরের খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের সানবান্ধা ঘাট হতে বিশুরি গাছা ঘাট ও শাহজাদপুরের জালালপুর ইউনিয়নের পাঁচিল, হাট পাঁচিল, জালালপুর ও সৈয়দপুর গ্রামে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। কোন কিছুতেই তার ভাঙ্গন ও লন্ডভন্ড তাণ্ডব থামছে না। কবে যে যমুনার সর্বগ্রাসী ক্ষুধা মিটবে কেউই তা জানে না। রাক্ষসী যমুনার তীর্ব ভাঙ্গনে জেলার তিনটি উপজেলার শত-শত বসতবাড়ি ও হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ পাউবো'র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রঞ্জিত কুমার সরকার বলেন, পানি আগামী ৮ তারিখ পর্যন্ত বাড়বে, তারপর কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে কিছু এলাকায় ভাঙ্গন রোধে জিও টিউব ফেলা শুরু হয়েছে। কাওয়াকোলার যে চরে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে ওই স্থানে কাজ করার সুযোগ নেই। এছাড়াও পানি বাড়া ও কমার সময় সাধারণত সবসময়ই ভাঙ্গন দেখা দেয়।

মেসেঞ্জার/শাহেদ

×
Nagad