ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

যমুনায় পানি বিপৎসীমার উপরে, পানিবন্দি ৫ হাজার মানুষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৯:৪৪, ৬ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১০:৫৪, ৬ জুলাই ২০২৪

যমুনায় পানি বিপৎসীমার উপরে, পানিবন্দি ৫ হাজার মানুষ

ছবি : মেসেঞ্জার

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধিতে যমুনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ চলনবিলাঞ্চলের নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এতে জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬ পরিবারের সাড়ে ৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি বন্দি মানুষদের মধ্যে দুভোগ দেখা দিয়েছে। 

গত ১২ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহরের হার্ডপয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  

এতে প্রতিদিন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ১ হাজার ২৭৬ পরিবারের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়েছে। একই সঙ্গে চরাঞ্চলের ৪০০ হেক্টর ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়ে তীব্র ভাঙন।
 
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

জানা যায়, হু হু করে যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জেলার সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে আবাদি জমি, রাস্তাঘাট ও বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যাকবলিত মানুষগুলো বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

এদিকে, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, শাহজাদপুরের হাটপাচিল ও কাজিপুরের খাসরাজবাড়িতে চলছে নদীভাঙন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ এলাকায় শত শত বাড়ি-ঘর যমুনায় বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।  

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, বন্যার পানি উঠে জেলার ৪০৮ হেক্টর জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।  

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, সর্বশেষ জেলার ৫টি উপজেলার ১ হাজার ২৭৬টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি আছে। ৫০০ মেট্রিক টন চাল আর ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। সময়মতো সেগুলো বিতরণ করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরেই যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বেড়েছে। ইতোমধ্যে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আগামী ২/৩ দিন ধীরগতিতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।  জেলার ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোয় জিওটিউব ও জিওব্যাগ ডাম্পিং করে ভাঙন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পানি বাড়লেও এ মৌসুমে বড় ধরনের বন্যা না হলেও মাঝারি আকারের বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেসেঞ্জার/অদিত্য/আজিজ

×
Nagad