ছবি : মেসেঞ্জার
সরকারি নিষেধ উপেক্ষা করে ভোলা লক্ষীপুর নৌরুটে ডেন্জার জোন দিয়ে প্রমথ মেঘনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রলার এবং স্পীড বোটে যাত্রী পারাপার অব্যাহত থাকলেও কর্তৃপক্ষ নজরদারী বা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
সম্প্রতি ভোলার ইলিশা জংশন ফেরি ও লঞ্চ ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মেঘনার সরকারি নিষিদ্ধ জোন এলাকায় প্রতিদিন অসংখ্য ট্রলার ও স্পীড বোট অবৈধভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার করছে।
বাংলাদেশের নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ভোলার ইলিশা জংশন অফিস সুত্র জানায়, সরকার বর্ষা মৌসুমের প্রারাম্ভে ১৪ এপ্রিল থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত মেঘনার ডেঞ্জার জোন এলাকায় সরকারি বিধানের বাইরের নৌযান পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
কারণ এ সময় কালে মেঘনা নদীতে প্রবল ঝড় অবস্থা বিরাজ করায় তা যাত্রী সাধারনের জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ থাকে।
তাই ভোলা লক্ষীপুর নৌরুটে সরকারি ৪টি সি-ট্রাক ও দুটি লঞ্চ প্রতিনিয়ত যাত্রী পরিবহন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। তদুপরি ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও বরগুনা হতে চ্ট্টগ্রাম কুমিল্লা নোয়াখালী ও সিলেট অঞ্চলের শত শত যাত্রী সহজ রুট হিসাবে যাতায়াতের জন্য এ রুটটি ব্যবহার করেন।
ফলে প্রতিদিন লঞ্চ এবং সিট্রাক যাতায়াতের মধ্যেবর্তী সময়ে অবৈধ ট্রলার ও স্পীড বোটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অসংখ্য যাত্রী মেঘনা নদী পাড়ি দেয়।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌযান পরিবহন কর্তৃপক্ষের নিয়োজিত ঘাট ইজারাদার ও ট্রলার এবং স্পীড বোট মালিকদের যোগসাজশে অবৈধ নৌযান গুলি যাত্রী সাধারণকে জিম্মি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলার বিভিন্ন নৌ-ঘাটে তাদের এ অবৈধ ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষ করে ইলিশা মজু চৌধুরীর হাট, দৌলতখান চর আলেক্সান্ডার, তজুমদ্দিন মনপুরা, চরফ্যাসন মনপুরা রুটে এ বর্ষা মৌসুমে নিষিদ্ধ ঘোষিত ডেনজার জোনে অবলিলায় কাঠের বডির ট্রলার শত শত যাত্রী নিয়ে মেঘনা পাড়ি দেয়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ ভোলা কার্য্যলয়ের উপ-পরিচালক শহীদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, যাত্রী পারাপারের ব্যাপারে তাদের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ না থাকায় তাদের অগোচরেই ট্টলার এবং স্পীড বোটে যাত্রীগন বিভিন্ন রুটে যাতায়াত করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন নজরদারি বাড়ালে অবৈধ নৌযান পারাপার বন্ধ করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।
মেসেঞ্জার/কামাল/আপেল