ছবি : মেসেঞ্জার
ঢাকার আশুলিয়ায় এক নারী পোশাক শ্রমিকের রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছেন। এদিকে মরদেহের পাশে পড়ে থাকা একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে।
যেখানে লেখা ছিল 'আমরা দুইজন ইচ্ছায় মরছি এইখানে কারো দোষ নাই। আমরা নিজের ইচ্ছায় মরছি। আমি আমার বউকে মারছি। বউ আমাকে মারছে। এইখানে বাড়ির কারো দোষ নাই।'
শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আশুলিয়ার পূর্ব নরসিংহপুর এলাকার মিন্নাত আলীর ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে তাকে হত্যার পর স্বামী পালিয়ে গেছে।
নিহত জাহানারা খাতুন জান্নাতি দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী হাবিবুর রহমান অনিক পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দিঘুলিয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তারা আশুলিয়ার ওই বাড়িতে ভাড়া থেকে শারমিন গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে মিন্নাতের বাড়ির একটি কক্ষে নারীর মরদেহ পরে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের পাশে একটি ডায়েরি পাওয়া যায়। তবে ঘরের দরজা বাহির থেকে লাগানো অবস্থায় ছিল।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবজালুল হক জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ বিছানায় ফেলে রেখে যেতে পারে। যেহেতু মুখে ফেনা ছিল, সেক্ষেত্রে বিষপানে আত্মহত্যাও হতে পারে।
তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। তার স্বামীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে পাওয়া গেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।
তিনি আরো জানান, মরদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা চিরকুটটি নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। চিরকুটে স্বামী ও স্ত্রীর একে অপরের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তবে স্ত্রীর মরদেহ পেলেও স্বামীকে খুজে পাওয়া যায়নি।
মেসেঞ্জার/নোমান/আপেল
