ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

গাইবান্ধায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে ৮০ হাজার মানুষ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:১৯, ৭ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৩:২২, ৭ জুলাই ২০২৪

গাইবান্ধায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটে ৮০ হাজার মানুষ

ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধায় যমুনা, ব্রক্ষ্মপুত্র ও ঘাঘটসহ নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও রয়েছে বিপৎসীমার ওপরে। এতে করে জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটাসহ চার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ৫ দিন ধরে ৩০টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়াসহ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৮০ হাজার পরিবার। ক্রমেই দুর্ভোগ-ভোগান্তি বাড়ছে তাদের।

উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতে হঠাৎ বন্যার পানি ঢুকে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু জায়গা ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ আশ্রয়কেন্দ্রে।

ফলে বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের সংকট। গো-চারণ ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও বিপাকে পড়েছেন দুর্গতরা। ইতোমধ্যে জেলার ৮০ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। চারিদিকে বন্যার পানি থাকায় ও টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় খাবার পানির তীব্র সংকটে বন্যার পানি সঠিকভাবে না ফুটিয়ে খাওয়ার কারণে অসুস্থ হচ্ছেন অনেকেই।

ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম খাটিয়ামারি চরের আজিজুল হক বলেন, গত ১ সপ্তাহ হলো পরিবার নিয়ে নৌকায় অবস্থান করছি । গতকাল পর্যন্ত পানি বাড়ছিলো । ঘরে যে পরিমাণে শুকনা খাবার ছিল তা তিন দিন আগেই শেষ হয়েছে। টিউবওয়েল তলিয়ে যাওয়ায় নদীর পানি ফুটিয়ে খাচ্ছি । আমাদের এই চরে এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোন বরাদ্দ আসে নাই ।

বন্যাদুর্গতদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে

এদিকে, পানির নিচে তলিয়ে আছে আউশ ধান, পাট, মরিচ ও আমন বীজতলাসহ প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন শাকসবজি। চার উপজেলায় দুর্গত মানুষের জন্য ৩ হাজার ৫০টি করে শুকনো খাবার প্যাকেট ও ১৬৫ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং নগদ অর্থ বিতরণ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। তবে এই ত্রাণ সহায়তা চাহিদার চেয়ে অপ্রতুল বলে অভিযোগ দুর্গত এলাকার মানুষের।

মেসেঞ্জার/সিয়াম/নিশাত

×
Nagad