ঢাকা,  রোববার
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

তিস্তা-ধরলার উজানে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ৭ জুলাই ২০২৪

আপডেট: ১৯:০২, ৭ জুলাই ২০২৪

তিস্তা-ধরলার উজানে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি

ছবিঃ মেসেঞ্জার

অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি উপচে নদীতীরবর্তি নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। যদিও নদীটির পানি রবিবার ও বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হয়েছে। তবে গতকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এদিকে পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত একটি বাঁধ জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো)। পানি নিয়ন্ত্রনে ডালিয়া ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ সবকটি জলকপাট খুলে রেখেছে। 

পাউবো জানায়, রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে নদীটির পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুর ১২টায় কমে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে বিকাল তিনটায় পানিপ্রবাহ আবারও কিছুটা বেড়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বয়ে যায়।  

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে গত শনিবার বিকাল থেকে নদী উপচে পানি ঢুকতে শুরু করে তীরবর্তি নিম্নাঞ্চলে। এতে পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, ডাউয়াবাড়ি, গড্ডিমারী ও সিন্দুর্ণা,কালীগঞ্জের ভোটমারী, আদিতমারীর মহিষখোচা এবং সদর  উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলোর অন্তত দশ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার কিছু রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। 

 শনিবার পানির তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ’ মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন-২ স্পার বাঁধটি গতকাল জিওব্যাগ ফেলে মেরামত করেছে পাউবো।
কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের শৌলমারী এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল আলম বলেন, আমরা ত্রান চাইনা।নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষায় আমরা তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খাইরুজ্জামান বাদল জানান, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির কারনে হরিনচড়া,কালমাটিসহ খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে।অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। গ্রামে চলাচলের জন্য যে রাস্তাঘাটগুলো রয়েছে অনেক রাস্তা ভেংগে গেছে।অনেকে আতঙ্গকে বাড়ীঘোড় উঁচু স্থানে স্থানান্তর করেছে অনেকেই। 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, সকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার
উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে নদী রক্ষা বাঁধগুলো হুমকির মুখে রয়েছে।পানি বাড়ায় ১ হাজার পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। 

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী জানান,মহিষখোচা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ৭টিই হলো নদী এলাকায়।তিস্তার পানি বাড়লে ইউনিয়নের ৭টি ওয়ার্ডের মানুষজন দুর্ভোগে ভোগে।কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্টানে পানি উঠেছে এবং পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এ ইউনিয়নের প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়েে পরেছে।

নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ  বিকেলে বলেন, ‘তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হলে দুর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে।বন্যাদুর্গত মানুষজনের মাঝে ১শ মেট্রিকটন চাল,৫লাখ টাকা ও ৪শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। পাশাপাশি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রসহ মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত আছে। 
 
 

মেসেঞ্জার/আনিসুর/সৌরভ

×
Nagad