ঢাকা,  শুক্রবার
১৮ অক্টোবর ২০২৪

The Daily Messenger

নড়াইলে জুয়েলার্স মালিকসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার, ১১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:৩১, ৮ জুলাই ২০২৪

নড়াইলে জুয়েলার্স মালিকসহ ৬ ডাকাত গ্রেপ্তার, ১১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার

ছবি : মেসেঞ্জার

নড়াইলে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ছয় সদস্য দুজন জুয়েলার্স মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সময় লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার ( জুলাই) দুপুরে তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান। ডাকাতরা দিনের বেলা ঝালমুড়ি, ভ্যানচালক ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালালেও রাতে ডাকাতি করে বেড়ায় বলে জানা গেছে।

ডাকাতির ঘটনায় দেশি অস্ত্রসহ লুণ্ঠিত ১১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতরা হলো- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ফলসী ফুকরা গ্রামের শাহেদ আলী মোল্যার ছেলে ভ্যানচালক আল আমিন (৩১), একই গ্রামের বালাম শেখের ছেলে ভ্যানচালক তারিকুল ইসলাম (৩২), খুলনার তেরখাদা উপজেলার নলিয়ারচর গ্রামের তারা হুইনার ছেলে ভ্যানচালক গোলাম রসুল (৩৪), একই গ্রামের লগিল মোল্যার ছেলে ঝালমুড়ি বিক্রেতা জাকির হোসেন মোল্যা (৩৮), তেরখাদার আটলিয়া গ্রামের দাউদ শিকদারের ছেলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক মাইম শিকদার (৩৫) এবং নড়াইলের নড়াগাতী থানার নলামারা গ্রামের শশি ভৌমিকের ছেলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক অরুণ ভৌমিক (৫২)

এর মধ্যে জাকির মোল্যার নামে খুলনা বাগেরহাটে একটি ডাকাতি দুটি চুরি মামলা এবং গোলাম রসুলের নামে খুলনা, গোপালগঞ্জ, যশোরে সাতটি ডাকাতি মামলা, একটি চুরি মামলা অস্ত্র আইনে একটি মামলা রয়েছে।

এদিকে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া বাজারস্থ কলেজ সড়কের পূজা জুয়েলার্সের মালিক অমৃত বালা (৩৯) এবং নড়াইলের বড়দিয়া বাজারস্থ মসজিদ গলির অপূর্ব জুয়েলার্সের মালিক অপরেশ সিকদারকেও (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান আরো বলেন, গত জুলাই রাত সাড়ে ১২ দিকে নড়াগাতী থানায় নগামারা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মফিদুর রহমান চৌধুরীর বাড়িতে সাত থেকে আটজন ডাকাত প্রবেশদ্বারের তালা ভেঙ্গে দেশি অস্ত্রসহ ঘরে প্রবেশ করে।

গামছা এবং মাস্ক পরিহিত ডাকাতরা মফিজুরকে ওড়না দিনো বেঁধে জিম্মি করে রাখে। এসময় শোকেজে থাকা ৫১ হাজার টাকা, একটি মোটরসাইকেল এবং ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি লুট করে নিয়ে যায় তারা।

এছাড়া মফিজুরের স্ত্রীর গলা, মেয়ের কানসহ বিভিন্ন বাক্সে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তাদের পোশাকও লুটে নেয় ডাকাত দল।

ঘটনায় মফিকুর রহমান বাদী হয়ে গত রোববার ( জুলাই) নড়াগাতী থানায় ডাকাতি মামলা করেন। এরপর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, সিসিআইসি টিম এবং নড়াগাতী থানা পুলিশ ডাকাতদের ধরতে মাঠে নামেন।

নড়াগাতী থানার (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানসহ পুলিশের একটি দল খুলনার তেরখাদা এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী এবং সদর থানায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনায় লুন্ঠিত মালামাল সহ ছয়জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, ডাকাতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পূজা জুয়েলার্সের মালিক অমৃত বালার কাছ থেকে আট আনা গলিত সোনা এবং অপূর্ব জুয়েলার্সের মালিক অপরেশ সিকদারের কাছ থেকে আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং গলিত ১৪ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা জানায়, ঘটনায় আরো তিন থেকে চারজন জড়িত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান।

এছাড়া, অন্য একটি ডাকাতির ঘটনায় নড়াইলের নড়াগাতী থানার চালনা গ্রামের গাউসুল আলম মোল্যার বাড়ি থেকে লুণ্ঠনকৃত স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুটি করে চেইন, চুড়ি, হার, ভাঙ্গা চুড়ি রুপার নুপুর এবং পাঁচ জোড়া কানের দুল চারটি আংটি রয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দোলন মিয়া, নড়াগাতী থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি ছাব্বিরুল আলম, সাইবার ক্রাইম সেলের ইনচার্জ শাহ দারা খানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।

মেসেঞ্জার/ফরহাদ/আপেল